নতুন ড্রাগ নয়, ৪৭ রকমের ওষুধ নিয়ে ট্রায়াল শুরু ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে

কোভিড-১৯ রুখতে যে ধরনের ভ্যাকসিন দরকার তা তৈরি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। তাই আপাতত পুরনো ওষুধেই বেশি ভরসা করা যেতে পারে। এমনটাই মত, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ান্টিটেটিভ বায়োসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও সিনিয়র ড্রাগ ইনভেস্টিগেটর নেভান ক্রোগানের।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট কোয়ান্টিটেটিভ বায়োসায়েন্সসে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষক দল নতুন ড্রাগের বদলে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন পাওয়া অ্যান্টি-ভাইরাল ৬৯টি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে। নেভান জানিয়েছেন, ৬৯টি ওষুধ সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে আটকাতে পারবে। গত চার সপ্তাহ ধরে স্ক্রিনিং করে ৪৭টি ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ওষুধগুলি আরএনএ ভাইরাসের প্রোটিনকে ভেঙে দিতে পারবে।” এই ড্রাগ কাজ করলে কোভিড-১৯ শুধু নয় কোভিড-২২ ও কোভিড-২৪ রোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নেভান।

ওষুধের রাসায়নিক গঠনে প্রয়োজনীয় বদল এনে ইতিমধ্যে পশুদের শরীরে তার ট্রায়াল করা শুরু হয়েছে। ৩ রকমভাবে ট্রায়াল হয়। নেভান বলছেন, ওষুধ কাজ করতে পারে দু’ভাবে। প্রথমত, ভাইরাসকে সরাসরি আক্রমণ বা কোষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভাইরাল প্রোটিনের সঙ্গে দেহকোষের সংযুক্তিকে ভেঙে দেয়। ভাইরাস আর দেহকোষের রিসেপটর প্রোটিনকে শনাক্ত করতে পারে না বা তার সঙ্গে জোট বেঁধে কোষে ঢুকতে পারে না।