“শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বিষয়টা একটু দেখুন,” কাতর আবেদন টেট উত্তীর্ণদের

একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে বেকারত্বের যন্ত্রণা। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদন চাকরিপ্রার্থীদের। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদন জানাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণরা। ২০১৫ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ হন বহু সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী। যোগ্যতার বিচারে এর মধ্যে অনেককেই যোগ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে সময় যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় বাদের খাতায় চলে যায় বহু সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী। সেই পরিস্থিতিতে ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ নেন এক হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ তার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম সদুত্তর মেলেনি। অন্যদিকে টেট পাস করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও শংসাপত্র মেলেনি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

২০১৫ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রিয়ব্রত দাস জানান, “চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয় রাজ্য সরকার। এর পর ২০১৫-১৭, ২০১৬-১৮, ২০১৭-১৯ সালে প্রায় ১২০০ চাকরিপ্রার্থী ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৭ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রীর জানিয়েছিলেন, টেট পাস প্রার্থী প্রশিক্ষণ নিলে তাঁদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরে বারবার যোগাযোগ করলেও কোন সদুত্তর পাইনি। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাদের বিষয়টা একটু দেখুন। চাকরিপ্রার্থীদের এই দুর্দশা কাটানোর আর্জি জানাচ্ছি।”

Previous article২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ৩৫৬১
Next articleকরোনা-মোকাবিলায় সুসংহত পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার, জানালেন অতীন ঘোষ