এখনও কলকাতায় করোনা সংক্রমণ সেভাবে রুখে দেওয়া যায়নি ঠিকই, তবে কিছুটা স্বস্তির খবর, শহরের কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে৷
কলকাতা পুলিশ ৭ মে, বৃহস্পতিবার, কনটেইনমেন্ট জোনের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে কলকাতায় এই ধরনের জোনের সংখ্যা এখন ৩১৯। গত ৬ মে রাতে কলকাতা পুলিশের তথ্যই দেখিয়েছিলো, কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩৩২।
List of containment zones in Kolkata as on 07.05.2020 (1/5) pic.twitter.com/LzREmdzusZ
— Kolkata Police (@KolkataPolice) May 7, 2020
List of containment zones in Kolkata as on 06.05.2020 pic.twitter.com/LgPxxvcYKK
— Kolkata Police (@KolkataPolice) May 6, 2020
কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণার নির্দিষ্ট বিধি আছে ICMR-এর৷
ICMR – এর নির্দেশিকা বলছে, নির্দিষ্ট কোনও কনটেইনমেন্ট জোনে যদি ২১ দিন নতুন করে সংক্রমণের খবর না পাওয়া যায়, তা হলে সেই জায়গাকে ‘ডি কনটেন্ড’ করা হয়, অর্থাৎ যাবতীয় বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হয়।
কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কিছুটা কমে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, শহরের যে সমস্ত এলাকায় আগে করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল, সেখানে এখন আর করোনা-রোগী নেই।
কলকাতায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপাতত সাফল্যের মডেল বেলগাছিয়া বস্তি এবং নারকেলডাঙা এলাকা। এমনই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের৷ পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় এই দুই এলাকা, বেলগাছিয়া বস্তি এবং নারকেলডাঙায় গত মাসে
গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু গত ১৭ দিন এখান থেকে আর কোনো করোনা-রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আর কয়েক দিন নতুন সংক্রমণের খোঁজ না পাওয়া গেলে এই জায়গাগুলিও ‘ডি কনটেন্ড’ করে দেওয়া হবে। কলকাতায় আপাতত কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কিছুটা কমলেও ভবিষ্যতে অসতর্ক বা আইন না মানার প্রবনতা দেখা দিলে, এ ধরনের জোনের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা সব সময়ই থাকছে৷
তবে পুরসভা ও পুলিশকে এখন উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে বড়বাজার এবং সংলগ্ন এলাকা।বেলগাছিয়া মডেল অনুসরণ করে তিলজলা, তপসিয়া, গার্ডেনরিচ, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এলাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর কাজ চলছে৷ কিন্তু বড়বাজার বা সংলগ্ন এলাকায় তা করা যাচ্ছে না৷ এর একমাত্র কারন, বড়বাজার, পোস্তা,মেছুয়া ফলপট্টি এলাকায় শ’য়ে শ’য়ে বাইরের লরি আসছে ফল নিয়ে। ইফতারের বাজারে ফলের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতেই লরি ঢুকছে৷ সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে৷ পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়,
“ঠিক এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ে। সেখানকার কোয়ামবেডু পাইকারি বাজার এখন করোনা-ভাইরাসের বৃহত্তম হটস্পট। চেন্নাইয়ে এখন গড়ে ৬০০-৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশের সঙ্গেই এই পাইকারি বাজারের যোগ রয়েছে।”
ওদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হাওড়ায়। তবে ওখানেও স্বস্তির খবর, কনটেইনমেন্ট জোনগুলির বাইরে হাওড়াতে সংক্রমণ ছড়ায়নি৷