করোনাযুদ্ধে কঠিন সময়ে।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার ও কুৎসায় সক্রিয় কেন্দ্রীয় সরকার, রাজভবন। রোজ সমালোচনা ও অপপ্রচারে সরব বিজেপি, বাম, কংগ্রেস।

এই অবস্থায় নিশ্চিতভাবেই একটু চাপে তৃণমূল।
কারণ এহেন বিপদে মানুষ জর্জরিত। আর শাসকদলের কাছে প্রত্যাশা বেশি। এত বড় সিস্টেমে সব জায়গা নিখুঁত রাখা অসম্ভব।

ফলে যে বিপুল পরিমাণ কাজ রাজ্য করছে, তা ঢেকে দিয়ে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা অতিরঞ্জিত করে প্রচার চলছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে অবিরাম।
এই অবস্থায় তৃণমূলকে পাল্টা প্রচারের পথে ফেরাতে আবার হাল ধরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

1) হাইটেক সাংবাদিক বৈঠক। দফায় দফায় বক্তা হিসেবে নতুন মুখ সামনে আনছেন। সুবক্তা সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের কাজে লাগাচ্ছেন।

2) সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারের সব রকম উপাদান তৈরি করছেন।

3) পিকের কৌশল ব্যবহার করছেন। দলকে একসুরে প্রচারে নামাতে প্রশিক্ষণ চালাচ্ছেন বিধায়কদের। 13 মে থেকে পুরোদস্তুর পাল্টা আক্রমণ হবে। যুক্তি থাকবে। তথ্য থাকবে। বিজেপির শ্লাগানের পাল্টা শ্লোগানও শুরু হয়ে গেছে।

4) বড় বিবৃতির দরকার হলে নিজে নামছেন অভিষেক। দলনেত্রীকে রোজ মিডিয়ার সামনে আনা বন্ধ হয়েছে। জরুরি ইস্যুতে অবশ্যই থাকবেন তিনি।

অভিষেক এখন দলের প্রচারে যে বিষয়গুলিতে জোর দিতে চান-

1) বিরোধীদের বক্তব্যের মুখের উপর জবাব।

2) রাজ্য সরকার যে বিপুল কাজ করছে তা তথ্যসহ তুলে ধরা।
3) কেন্দ্র যে ভুলের পর ভুল করে পরে রাজ্যের উপর দায় চাপাচ্ছে, তার মুখোশ খোলা।
4) রেশন ইত্যাদি স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা সামলে আসল তথ্য তুলে ধরা।
5) বাংলাকে টার্গেট করে যে রাজনীতি চলছে, তা মানুষকে ব্যাখ্যা করে বোঝানো।
অভিষেক এই গোটা প্রচারপ্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূলকে ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে মাঠে নামাচ্ছেন। একদিকে সরকার কাজ করবে। অন্যদিকে দল তার প্রচার করবে এবং কুৎসা রুখবে। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া, অন্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার। তাছাড়াও সব নিয়ম মেনে পরিষেবার মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে থাকা এলাকাভিত্তিকভাবে।
বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ অভিষেক।