ব্যাপক টেস্টিং ছাড়া লকডাউন তোলা অতি সাহসিকতা হয়ে যাবে : নোবেলজয়ী অভিজিৎ

করোনার জেরে পাল্টে গিয়েছে জীবনযাত্রা। সুদূর আমেরিকা থেকে জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ টাকা ছাপাও মানুষের হাতে দাও। মানুষ যদি না কিনতে পারে তাহলে অর্থনীতি এগোবে না। মুদ্রাস্ফীতি হোক, পরে সামলে নেওয়া যাবে। এখন টাকা ছাপালে ক্ষতি নেই, লাভ হয়তো হবে না। খরচা করতে পারলে হবে। তাহলে আবার কিনতে যাবে। মোট কথা মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাজার চাঙ্গা হবে। পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন ব্যাপক টেস্টিং না করে লকডাউন না খোলা একটু বেশি সাহসী ব্যাপার হয়ে যাবে। মৃত্যু হার কমবে টেস্টিং বাড়ালে।

ভারতে বেকারত্ব প্রায় ২৭%। সর্বকালীন রেকর্ড। তার মাঝেও আয় হলে কাজের জায়গা তৈরি হবে। কাজ আছে। ৩২ কোটির দেশে আমেরিকায় ২ কোটির বেশি বেকার। কিন্তু হাত খুলে খরচা করার জায়গা ছিল।

নোবেলজয়ী অভিজিৎ বলেন, চিনের ব্যবসা ভারতে আসবে এমন ভাবনা এখনই ভাবার কিছু নেই। চিনের টাকার দাম কমলে জিনিসের দাম কমবে। তাহলে তখন কী হবে?

করোনা প্রথমে ভাবা হয়েছিল, আমাদের হবে না। পরে যখন গ্রাস করল। কিন্তু ২ সপ্তাহ লকডাউন ঠিক ছিল। এই সময় থেকেই ভাবা উচিত ছিল। যাদের চুল কাটা বন্ধ হয়েছে তারা কী করবে সেটা ভাবতে হতো। ভারত সেটা ভাবেনি। দেশে টেস্টিং বাড়াতে হবে। আগে থেকে করা উচিত ছিল। কোথায় কতটা ছড়িয়েছে তা আগে থেকে জানা যেত। টেস্টিং একেবারে না করে লকডাউন খোলা ভয়ের ব্যাপার।