চলে গেলেন ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’-এর স্রষ্টা দেবেশ রায়

সাহিত্য জগতে নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন কিংবদন্তি লেখক দেবেশ রায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাহিত্য জগতে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই সাহিত্যিক। ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্য দেখা দিয়েছিল।
বুধবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন তেঘরিয়ার উমা নার্সিংহোমে। এইচডিইউ তে রেখে চলছিল চিকিৎসা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ভেন্টিলেশনে নেন। এ দিন রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
‘আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে দেবেশ রায়ের প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’।  তাঁর রাজনৈতিক বীক্ষার ছাপই পড়ে  সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তে। উত্তরবঙ্গের জীবনের বহতা ধরা আছে এই উপন্যাসে। তিনি বাস্তববাদী উপন্যাসের প্রচলিত ছক থেকে বেরিয়ে এসে বহুস্বরকে নিয়ে আসেন। ‘তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রয়াত সাহিত্যিক। সেই সূত্রেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপিত হয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সঙ্গে। রপ্ত করেছিলেন রাজবংশী ভাষাও। কলকাতা শহরে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ওতপ্রতোভাবে। শ্রমিকদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাঁর।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleকরোনাকে জয় করে রাজকীয় সম্বর্ধনায় ঘরে ফিরলেন ৭১ বছরের পৌঢ়! শোনালেন অভিজ্ঞতা