প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় পর্যায় নিয়ে ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। করোনা পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে বুধবার মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ নিয়ে প্যাকেজ ও বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিক, হকার ও প্রান্তিক কৃষকদের প্যাকেজ সম্পর্কে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। শুক্রবার করোনা পরবর্তী সময়ে কৃষি, পশুপালন, উদ্যানপালন, মৎস্যচাষ, দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য এগারো দফা প্যাকেজ ঘোষণা হল। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান:

গত দু-মাসে কৃষকদের বিপুল সাহায্য করেছে সরকার। বিভিন্ন প্রকল্পে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। কৃষকদের দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে
৭৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার শস্য কেনা হয়েছে। ফসল বিমা যোজনায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি। উপকৃত হয়েছেন ২ কোটি কৃষক। কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে ১ লক্ষ কোটির বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
দুগ্ধজাত শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর। লকডাউন পর্বে দুগ্ধ সমবায় সমিতি থেকে ২ মাসে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার দুধ কেনা হয়েছে। দুগ্ধ শিল্পে বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি ।

মৎস্য চাষে জোর। ২০ হাজার কোটি বরাদ্দ। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা। মৎস্য চাষ ও প্রক্রিয়াকরণে ৫৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। মৎস্যবন্দর তৈরি হবে, মৎস্যজীবীরা বিমার সুবিধা পাবেন।

পশুপালনে বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি। গবাদি পশুর ১০০ শতাংশ টিকাকরণ। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৪৭ কোটি।

উদ্যানপালনে জোর। হার্বাল মেডিসিন তৈরির লক্ষ্যে ওষধি চাষে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি। মৌমাছি পালনে বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। উপকৃত হবেন ২ লক্ষ মৌমাছি পালক। গঙ্গার ধার বরাবর গ্রীন করিডর করে ভেষজ চাষ হবে।

১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে বদল। এই আইনে সংশোধনীর অন্যতম লক্ষ্য কৃষকদের অতিরিক্ত সুবিধা দান। পচনশীল পণ্য পরিবহন ও মজুত করার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভরতুকি দেবে সরকার। পচনশীল সবজি পরিবহনে বরাদ্দ ৫০০ কোটি। কৃষকরা যাতে নিজেরাই নিজেদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য মূল্যে বাজারে বিক্রি করতে পারে সেজন্য কৃষিপণ্য বিপণন আইন সংশোধন করা হচ্ছে। কৃষকদের পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য বাধা থাকবে না। বাজারে পণ্য বিক্রির সময় কৃষকরা যাতে কোনওভাবেই লাভ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য নির্দিষ্ট দাম এবং গুণমান যাচাই করার ব্যবস্থা থাকবে।
