কথায় বলে ঘরের টান! আর অসময়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা যে কতটা মরিয়া হতে পারে লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে শেষের দিকে ভিন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের পদক্ষেপ থেকেই তা বোঝা গিয়েছে। তারাই চূড়ান্ত নিদর্শন মিলল রাজস্থানে। শেষ পর্যন্ত চুরি করতে বাধ্য হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু তিনি স্বভাবসিদ্ধ তস্কর নন। তাই অনুশোচনায় ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি লিখে যান ‘ বাইসাইকেল থিফ’।
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের মতো আটকে পড়েছিলেন মহম্মদ ইকবাল। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ইকবাল রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করতেন। লকডাউনে রোজগার বন্ধ। সঙ্গে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তান। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা ভেবে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ইকবাল। বিকল্প আর কোনও পথ পেয়ে শেষে রাজস্থানে ভরতপুরে সাহাব সিংয়ের বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি করেন তিনি।
কিন্তু সাইকেলটি নেওয়ার পরেই অনুশোচনা হয় তাঁর। মালিকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে যান ওই পরিযায়ী শ্রমিক। ইকবাল লেখেন, চুরি করা তাঁর স্বভাব নয়। কিন্তু সন্তানকে নিয়ে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? সেটা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এ জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন ইকবাল।
বাড়ির বারান্দায় চিঠিটি পেয়ে সবাইকে এই ঘটনাটি জানান সাহাব সিং। চিঠি পড়ে কি ইকবালকে ক্ষমা করে দিয়েছেন সাহাব সিং? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে তাঁর সাইকেল চুরি যাওয়ার কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি তিনি।