হুগলির তেলেনিপাড়া অশান্তি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তিনি। আরও কী কী বললেন হুগলির সাংসদ?
(১) আমি হুগলির সাংসদ হয়েও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে বারবার অনুরোধ করেও ওনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু তৃণমূলের বিধায়ক গতকাল কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। আমার সঙ্গে দেখা করলে যদি কমিশনারের পাছে নম্বার কেটে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে, সেই ভয়েই তিনি দেখা করেন নি আমার সঙ্গে।
(২) তেলেনিপাড়ার অশান্তিতে যারা নিরীহ লোক তাঁদেরকে পুলিশ বেছে বেছে ধরেছে। কারণ, শুধুমাত্র মানুষের কাছে “আই ওয়্যাস” করার জন্যে। একজন প্রতিবন্ধী, মাস্টারমশাইদের মতন নিরীহ লোককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এই অশান্তির আসল মাথাকে তোলা হচ্ছে না।
(৩) আমি নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি, কাউকে উস্কানি দিতে না। দাঙ্গা শব্দটি মুখ্যমন্ত্রী নিজে ব্যবহার করেছেন।
(৪) পুলিশের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনার সুযোগ আমায় দেওয়া হয় নি।
(৫) ১৪৪ ধারার মধ্যে সাংসদকে ঢুকতে দিলো না, কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স করে, ইট পাটকেল, অস্ত্র নিয়ে ঢোকা হয়েছে। তাই এর সঠিক তদন্ত চাই। এবং সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। এর পাশাপাশি আমি এখানকার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাঠিয়েছি।
(৬) বাইরে থেকে অস্ত্র নিয়ে লোক ঢুকিয়ে ৩-৪ দিন ধরে লুঠপাঠ চলছে। এখানে ঠিক কী হয়েছে সেই সত্যটা মানুষের কাছে জানতে না দেওযার জন্যে রাতের অন্ধকারে এসে, বাড়ি থেকে সবাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ডিলিট করানো হয়েছে।
(৭) মুখ্যমন্ত্রী যদি একবার নির্দেশ দিতেন কড়া হাতে দমন করার জন্যে, তাহলে এখানে ১ দিনে সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। ৩-৪ দিন ধরে এটা চলতো না। আসলে উপর দিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি, তাই পুলিশ কিছু করেনি।