দেরিতে হলেও এবার হোম- কোয়ারেন্টাইনের বর্জ্য নিতে এজেন্সি নিয়োগ

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বর্জ্য সংগ্রহে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা না থাকলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ১০০ শতাংশ৷ শুধু সংগ্রহ নয়, এই ধরনের বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করা দরকার বিজ্ঞানসম্মতভাবেই৷ এতদিন এ রাজ্যে এ ধরনের উদ্যোগ ছিলো না৷ পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত গুরুতর এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন৷ পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনের বর্জ্য নিয়ে পরিবেশ আদালতে অভিযোগও জানিয়েছেন৷

এবার সতর্ক হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করেছে রাজ্যের পুর দফতর৷ কোয়ারেন্টাইন-বর্জ্য বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে তার বিজ্ঞানসম্মত নিষ্কাশনে মেডিক্যাল বর্জ্য- ব্যবস্থাপনায় যুক্ত অভিজ্ঞ পেশাদার সংস্থাকে দ্রুত নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পুর-দপ্তর। এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন পুরসভা এবং পাঁচটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে। কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই এই ধরনের বর্জ্য-সংগ্রহে দু’টি সংস্থাকে নিযুক্ত করেছে।
সুভাষবাবু এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বলেছেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এতদিনে অনেকের হোম কোয়ারান্টিনে থাকার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বর্জ্য ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কি না, কেউ জানে না। ওই বর্জ্যে ক্ষতির আশঙ্কা কতখানি, তাও বলা হচ্ছেনা৷
পুর-দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা এবং লাগোয়া বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি। তাই এ সব এলাকায় যারা হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন, তাঁদের মাস্ক, গ্লাভস-সহ বিবিধ চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহে বিশেষ ব্যবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই জাতীয় বর্জ্য সংগ্রহ এবং তার ব্যবস্থাপনায় কী পদক্ষেপ করা আবশ্যিক, সে ব্যাপারে গত মার্চে মাসেই নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

Previous articleঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সতর্কতা রাজ্যজুড়ে জরুরি
Next articleকরোনা সন্দেহে স্থানীয়দের বিক্ষোভ, অসুস্থ মা’কে ভাড়া বাড়িতে রাখতে পারলেন না ছেলে