আমফান মোকাবিলায় রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে বিজেপিকে পাশে নিক রাজ্য, আর্জি রাহুলের

করোনার সঙ্গে জোড়া ধাক্কা হিসেবে আমফান নামক এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে, যা দীঘা উপকূল-সহ পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলাকে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে পার্টি মিটিংয়ে স্থির করা হয়েছে, যে সকল এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মাইকে করে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দুর্যোগ মোকাবিলায় পার্টির তরফ থেকে একটি হেল্প লাইন ও আলাদা একটি কন্ট্রোল রুম খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রাহুল সিনহা আরও জানিয়েছেন, সকল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই সাইক্লোন মোকাবিলায় নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করার জন্য তৈরি আছেন বিজেপি কর্মীরা। তবে করোনা লড়াইয়ে নিজেদের নিয়োজিত করে সাহায্যে করতে চাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বিজেপিকে দূরে ঠেলে একলা চলো নীতি নিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটি না করে সবাই মিলে একসঙ্গে আমফানকে মোকাবিলার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল সিনহা।

বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে অবিলম্বে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে খুব শীঘ্রই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুক রাজ্য।

পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে এদিন রাহুল সিনহা জানান, রাজ্য সরকার অবিলম্বে ১০০০-১২০০ ট্রেনের দাবি করুক। যা কেন্দ্র সরকার পূরণ করবে এবং তারা সকল সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু অজানা এক আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। যার ফলে শ্রমিকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

বেসরকারি বাস মালিকদের বীমার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রাহুল সিনহা বলেছেন, বাস মালিকদের সঙ্গে ফরমান ভুলে যথেষ্ট নমনীয়তার সঙ্গে আলোচনা করে গোটা বিষয়টিকে মধ্যস্থতার পর্যায়ে আনতে হবে। সবাই মিলে এই কঠিন দুঃসময়ের মোকাবিলা করতে হবে।

উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য বা রাজ্যের সমালোচনার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। লকডাউন পর্বে নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিনই তিনি কোথাও না কোথাও দুঃস্থ মানুষের হাতে ত্রাণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিচ্ছেন। বিজেপি নেতার অভিযোগ, যাঁদের এখনও রেশন কার্ড নেই বা পুরোনো রেশন কার্ডে সরকার রেশন দিচ্ছেন না, এমন প্রায় দশ হাজার মানুষকে শুকনোা রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Previous articleলকডাউনের মাঝে এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে বিমান দমদম বিমানবন্দরের রানওয়ে ছুঁল
Next articleচালু হল ডানকুনি কোয়ারান্টাইন সেন্টার