“দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি রায়দিঘিতে আছি। জরুরি সামাজিক সংকটের সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় যদি আমাকে কোনওভাবে প্রয়োজন হয় বা আমার কোনও ভূমিকা থাকে, তবে সমস্ত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের উর্দ্ধে মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে আমি প্রস্তত ছিলাম, আছি , থাকব।”
ঠিক এই বয়ানেই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বাম-মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অংশগ্রহণও সহায়ক হতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় মোকবিলায় রাজ্য যে নানা পদক্ষেপ করছে, তার উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আয়লা মোকাবিলায় নিজের অভিজ্ঞতার কথাও লিখেছেন তিনি। সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে ঝড়ের পর পানীয় জল, মৃত পশুপাখি দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানো, স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব, নদীবাঁধে ভাঙন, খাদ্যসামগ্রীতে টানের মতো বাস্তব কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আয়লার সময়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধার, ত্রাণের কাজ করেছিলেন কান্তি। বাদ যায়নি বুলবুলের সময়ও। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মানুষকে সাহায্য করেছিলেন কান্তি বাবু।
এদিন কান্তিবাবু বলেছেন, “যত বড় দুর্যোগই আসুক, আমি তৈরি আছি। রায়দিঘিতে আমার স্ত্রীর একটা স্কুল আছে। সেখানে থাকায় ব্যবস্থা করেছি। সেখানে থাকায় ব্যবস্থা করেছি। দু হাজার ত্রিপল, একটা নৌকা, ১০০ কুইন্টাল চাল, তিন লক্ষ টাকার ওষুধের বন্দোবস্ত করেছি। এখানে যাঁদের মাটির ঘর আছে, তাদের সবাইকে সন্ধ্যা নামার আগে ওই স্কুলে চলে যেতে বলেছি।”