পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, জখম ওসি-সহ ৭ পুলিশ, ভাঙচুর পুলিশের গাড়িও

সাইক্লোনের আবহেই এক পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে জনতা- পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিলো৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় ওসি যান ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন৷ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শেষ পর্যন্ত গড়িয়ে যায় সংঘর্ষে। ওসি-সহ ৭ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতেও।

পুলিশের উপরে যে হামলা হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, হামলার পরে দত্তপাড়া মোড় ছেড়ে থানায় ফিরে গিয়েছে বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর থানার দত্তপাড়া এলাকায় বুধবার সকালে একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে আসা একটি গাড়ি দত্তপাড়া মোড়ে এসে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। ইয়াকুব আলি মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি স্থানীয় ব্যবসায়ী। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে তিনি গাড়ির ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন। গুরুতর জখম ইয়াকুবকে দ্রুত শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে গাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল, সেটিকে আটকে রাখেন স্থানীয়েরা।
এই দুর্ঘটনার জেরে
দত্তপাড়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে জানার পরই স্বরূপনগর থানার পরে ওসি তুষার বি‌শ্বাস নিজেই ঘটনাস্থলে যান৷ পুলিশ সূত্রের খবর, জখম ব্যক্তি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে গুজব ছড়াতে শুরু করে এলাকারই কিছু মানুষ। যাঁরা ওই গুজব ছড়াচ্ছিলেন, ওসি তাঁদের সতর্ক করার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে বলে খবর। ইট-পাথর নিয়ে পুলিশের উপরে হামলা চালানো হয়।
হামলায় ওসি তুষার বিশ্বাসের মাথা ফেটে যায়। জখম হন আরও ৬ পুলিশকর্মী। পুলিশের তিনটি গাড়িও ভেঙেচুরে দেয় মারমুখী জনতা। জখম পুলিশকর্মীদেরও শাঁড়াপুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকর্মীদের চোট যথেষ্ট গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে পাঠানো হয়েছে৷

Previous articleরামমোহন সরণী, রাত আটটা
Next articleবিধ্বস্ত কলকাতা, সাফাইতে কাজ শুরু প্রশাসনের