সুপার সাইক্লোন আমফান মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট থেকে ফেনি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করবে। যার জেরে কাঁচা ঘরবাড়ি, ফসল ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা নৌ-অঞ্চলে ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে নৌবাহিনীর দু’টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্র্যাফট এবং দু’টি হেলিকপ্টারও।

বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়ো হাওয়া। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সরানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দেশের দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২২ লক্ষ মানুষকে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে প্রত্যেককে। একইসঙ্গে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে তাঁদের।”
বন্দরে কন্টেনার ওঠানো-নামানোর কাজ রয়েছে। তবে পণ্য খালাস সম্পূর্ণ বন্ধ। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দেশজুড়ে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পণ্যবাহী যান বন্ধ রেখেছে সরকার। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
