২৪ ঘন্টার মধ্যে আলো-জল ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ ববি হাকিমের

ফাইল চিত্র

সাতদিনে কলকাতা স্বাভাবিক হবে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় জানালেন ফিরহাদ হাকিম। সিএসসিকে বলেছি শুক্রবার এবং শনিবারের মধ্যে সমস্ত লাইনগুলো আগে চালু করে দিতে তারপর স্থায়ী ভাবে কাজ করতে হবে। সন্ধ্যার থেকেই সব জায়গায় বিদ্যুৎ আসতে শুরু করবে। ডব্লিউবিএসইবি বা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ এলে জলও চলে আসবে স্বাভাবিকভাবে।

ফিরহাদ হাকিম এদিন সমন্বয় তৈরির অভাবের কারণে সিইএসসি, এসইবি, পুরকর্মী, কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন ও এনডিআরএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি বলেন, বড় বিপর্যয় হয়েছে। পুরসভার হাতে ম্যাজিক স্টিক নেই যাতে নিমেষে চালু হয়ে যাবে সব কিছু। দুদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। তাই সিইএসসি ও এসিবিকে বলেছি আজ সন্ধ্যা থেকে শুরু করে কাল সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত জায়গায় আলো ফিরিয়ে দিতে। প্রাথমিকভাবে জরুরি ভিত্তিতে লাইন ফিরুক। তারপর স্থায়ীভাবে ল্যাম্পপোস্টগুলিকে আবার নতুন করে খাড়া করে করা হবে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক জানান, আড়াই হাজার বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে কলকাতায়। সেগুলি সারাতে তো একটু সময় দিতেই হবে। মূলত বিদ্যুতের খুঁটির বা তারের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। কলকাতায় সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ ভেঙেছে বলে তিনি জানান। সেগুলো সরাতে সময় লাগছে। ফিরহাদ জানান, এক একটি গাছ কাটতে তিন ঘন্টা সময় লাগে। গাছ কাটার এবং কর্মী আমাদের কাছে সীমিত ফলে একটু সময় দিতেই হবে আর এক্ষেত্রে যাতে সকলের মধ্যে সমন্বয় ঠিক থাকে তার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। মন্ত্রী জানান পাম্পিং স্টেশন কিছু বন্ধ আছে সেগুলি চালু হয়ে যাবে। জল সরবরাহ প্রায় স্বাভাবিক। রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য এনডিআরএফ কর্মীরা সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কেবল লাইনগুলোকেও সচল করার জন্য ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

Previous articleছবিগুলোর দিকে তাকানো যাচ্ছে না, কুণাল ঘোষের কলম
Next articleকরাচিতে নামার মুখে ৯১জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল পাক এয়ারবাস