সিইএসসি নিয়ে সামান্য দুচারটি কথা, কুণাল ঘোষের কলম

কুণাল ঘোষ

আপনি একাধিক দল থেকে সরকার বাছতে পারেন।

আপনি একাধিক নেটওয়ার্ক থেকে নিজের ফোন পছন্দ করতে পারেন।
আপনি যে কোনো জিনিসের একাধিক ব্র্যান্ড থেকে নিজের পছন্দেরটি নিতে পারেন; এমনকি কাগজ, চ্যানেল, পোর্টাল পর্যন্ত।

শুধু আপনাকে সিইএসসির থেকেই বিদ্যুৎ নিতে হবে। কেন?
অন্য কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা থাকবে না। কেন?
সরকার যারই হোক, যুগে যুগে পাশে সেই সিইএসসি কর্ণধাররা। কেন?
বাংলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প বা বিপণনের স্বপ্ন নিয়ে কেউ এলে বিদেয় হয়ে যেতে হয়। কেন?
বিদ্যুতের দাম বাড়া আর মিটার রিডিং রহস্যের সন্তোষজনক উত্তর মানুষ পান না। কেন?
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যুগে যুগে কোনো দলের কোনো আন্দোলন ( ব্যতিক্রম এস ইউ সি) তীব্র চেহারা নেয় না। কেন?

অবিলম্বে কলকাতার মানুষের সামনে বিদ্যুৎ পরিষেবায় যথাযোগ্য সংস্থা বেছে নেওয়ার অধিকার চাই।
একাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিষেবা সংস্থাকে কাজ করতে দেওয়া হোক।

সিইএসসি নিশ্চয়ই থাকুক। পরিষেবা ভালো করুক। কিন্তু বাধ্যতামূলকভাবে সিইএসসি থাকবে? কেন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে আসবে না?

অতীতে যুগে যুগে বহুবার লিখেছি।
আবার লিখলাম।
এবারও কাজ হবে না।
বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হলেই মানুষ সন্ধেয় টিভির তরজা কিংবা সিরিয়ালে ডুবে যাবেন।

অতএব, সিইএসসি যুগ যুগ জিও।
দুচারটি বিক্ষোভের খবরে কান দেবেন না স্যর।
ওসব দুদিনের ঝামেলা। বড়জোর সরকারকে দোষ দেবে। পুরপিতাকে ঘেরাও করবে।
কারেন্ট এসে গেলেই সবাই সব ভুলে যাবে।

স্যর, আপনারা ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

 

Previous articleআমফান ত্রাণে এখনই বাংলাকে ১০০০ কোটি ও ওড়িশাকে ৫০০ কোটি আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মোদির
Next articleএক বিদ্যুৎকর্মীর কলমে