নতুন নির্দেশ মেনে স্লিপ সাজানো সম্ভব নয়, স্পষ্ট মত বেঙ্গসরকর সহ তারকাদের

সারা বিশ্ব জুড়ে
আইসিসি একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে সব দেশের জন্য। আইসিসির স্পষ্ট নির্দেশ , ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেড় মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিটব্যাগে অবশ্যই রাখতে হবে স্যানিটাইজার। এমনকি, ওভার শুরু করার আগে আম্পায়ারের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না টুপি অথবা সোয়েটার। ট্রেনিং চলাকালীন কোনও ক্রিকেটার শৌচালয় ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও সুপারিশ করেছে আইসিসি। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ও পরে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। সঙ্গে নিয়মিত হারে গোটা দলকে যেতে হবে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ।
আইসিসি-র এই নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে  ক্রিকেটমহলে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, দূরত্ব বিধি খেলার মধ্যে মানতে গেলে স্লিপ কর্ডনের কী হবে? দেড় মিটারের ব্যবধান অন্যান্য ফিল্ডিং জায়গার ক্ষেত্রে মানা গেলেও স্লিপ মাঠে সাজাতে গিয়ে কী করে তা মানা সম্ভব?
অতীতের তারকারা অধিকাংশই বিস্মিত আইসিসি-র নির্দেশিকায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকর বলেছেন, ‘‘একেবারেই অমানবিক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এ ভাবে ক্রিকেট হয় না। তবে হ্যাঁ, ওভার শুরু করার আগে বোলাররা বাউন্ডারি লাইনের বাইরে নিজেদের টুপি রেখে আসতে পারে।’’ এরই সঙ্গে বেঙ্গসরকর স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘ ট্রেনিংয়ের মাঝে কারও শৌচালয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে সে কী করবে? অসুস্থ হয়ে পড়বে তো। ফিল্ডিংয়ের সময়েই বা কী ভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবে? প্রথম স্লিপের পরে কি চতুর্থ স্লিপ দাঁড় করাতে হবে? নাকি সিলি পয়েন্ট, ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ ছাড়াই বল করবে স্পিনাররা?’’
প্রাক্তন ভারতীয় বাঁ-হাতি স্পিনার মনিন্দর সিং বলেছেন, ‘‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কোনও রকম টিমগেম হয় না। তা হলে স্পিনাররাই বা অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করবে কী করে? শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন কোচ ডাভ হোয়াটমোর বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই নিয়ম। কারণ, সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টিতে বল থুতু দিয়ে পালিশ করার প্রয়োজন নেই। স্লিপের সে রকম প্রয়োজন নেই। সিলি পয়েন্ট, ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ তো সামনে দাঁড়াবেই না। টেস্টে এ ধরনের নিয়ম মানা সম্ভব নয়।’’
ভারতের প্রাক্তন পেসার চেতন শর্মার কথায়, ‘‘বোলারদের পক্ষে বার বার হাত স্যানিটাইজ করা সম্ভব নয়। হাত শুকোতে কিছুটা সময় তো লাগেই। বল করার সময় গ্রিপ করতে সমস্যা হবে। তা ছাড়া স্লিপ কর্ডন ছাড়া একজন পেসার নিশ্চয়ই বল করতে পারবে না বা চাইবেও না।’’
সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে নতুন নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে ক্রিকেট তার জৌলুস বজায় রাখতে পারবে কিনা, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।

Previous articleফের আন্দোলনের পথে বঙ্গ-বিজেপি,২৭ মে রাজ্য সরকারের ৯ দফা ব্যর্থতার চার্জশিট পেশ
Next articleভিতরে সিইএসসি কর্তার সাংবাদিক সম্মেলন, বাইরে বাম যুবদের বিক্ষোভ