পাকিস্তানের বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটের রহস্যজনক ভূমিকা

করাচি বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।গত শুক্রবার করাচিতে ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯৭ জন যাত্রী এবং বিমানকর্মীর। এই ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে পাইলটকে তিনবার সতর্ক করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। পাইলট সাজ্জাদ গুলকে বিমানের উচ্চতা এবং গতি নিয়ে তিনবার সতর্ক করা হয়েছিল এটিসি থেকে৷ জোর করে অবতরণের চেষ্টা করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানটির অয়েল ট্যাঙ্ক।

পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম এটিসি-র রিপোর্ট তুলে ধরেছে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, করাচি বিমানবন্দর থেকে থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা অবস্থায় ৭ হাজার ফুট উচ্চতার বদলে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল এয়ারবাস এ-৩২০৷ সেই সময় চালককে সতর্ক করে উচ্চতা কমাতে বলা হয়েছিল। কেন এত বেশি উচ্চতায় বিমান ছিল তা পাইলট বা সহকারি পাইলট এটিসি-কে জানায়নি। যা থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে কোনও চাপে পড়ে ভুল উচ্চতায় ওড়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন পাইলট। এমনকী এটিসি কে চালক জানান, ওই উচ্চতায় বিমানটি ওড়ানোই সঠিক।

তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, চালক যখন প্রথমবার অবতরণে ব্যর্থ হয়ে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখনই মাটির সঙ্গে তিন বার ঘর্ষণের ফলে বিমানটির ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ সেখান থেকে তৈরি হয় আগুনের ফুলকিও। ওই ঘর্ষণের ফলে তেলের ট্যাঙ্ক এবং ফুয়েল পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লিক হয়ে যায়৷

Previous article৮৪ বছরের জীবন থমকে গেল হিটলারের স্যাটার্নের
Next articleমোহালি হকি স্টেডিয়াম হকির আইকন বলবীর সিং(সিনিয়র)-এর নামাঙ্কিত হবে