বাংলায় খাপ পঞ্চায়েত! ‘সম্পর্ক’র অভিযোগে প্রকাশ্য সভায় যুবক-যুবতীকে কান ধরে ওঠবস

উত্তর প্রদেশ, বিহার বা হরিয়ানায় এ ধরণের খাপ পঞ্চায়েত দেখা যায়। এবার তার ছায়া দেখা গেল বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে অবিবাহিত যুবতীর সম্পর্কের জেরে খাপ পঞ্চায়েত ডেকে তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হলো। বাধ্য করা হলো কান ধরে ওঠবস করতে। যা নিয়ে সব মহলেই বিস্ময় এবং এলাকার মানুষের খাপ পঞ্চায়েত বসানোর দুঃসাহস নিয়ে।

কী হয়েছিল শুক্রবার ঘাটালে? ওই যুবকের বাড়িতে আসে ওই যুবতী। অভিযোগ যুবকের পরিবার বারে বারেই যুবতীকে জড়িয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল পাড়ায়। এদিন যুবতীকে পেয়ে তাকে ধরে একটি স্কুল বাড়ির বারান্দায় নিয়ে আসা হয়। আসে যুবকটিও। বসে সালিশি সভা। নেতৃত্ব দেন যুবকের এক আত্মীয় অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ জওয়ান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করা হয় দুজনকে। এরপর দু’জনকেই কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়। ভিডিওতে তা স্পষ্ট দেখাও যায়। যুবতীর পরিবার জানায়, গ্রামের সকলে যেভাবে বিরোধিতা করেছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য জানানোর জায়গা ছিল না। অপমানিত হয়ে তাঁদের চলে আসতে হয়। কিন্তু লকডাউন চলায় তাঁরা একটু অসুবিধায়। কিন্তু এর প্রতিকার চাইতে তাঁরা আদালতে যাবেন। আইনজীবীদের বক্তব্য,

১. আইপিসি ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী এই ঘটনা সম্পূর্ণ বেআইনি। খাপ পঞ্চায়েত বা সালিশি সভা বেআইনি।

২. বিবাহিত হলে সম্পর্কে জড়ানো যাবে না, এটিরও কোনও আইনি বৈধতা নেই।

৩. এক জনের সঙ্গে আর একজনের সম্পর্ক কখনই অবৈধ হতে পারে না

৪. প্রকাশ্যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যুবতী আদালতে বিচার চাইলে ঘটনায় জড়িত সকলের গ্রেফতারি এড়ানো মুশকিল।

Previous articleস্পেশাল ট্রেনে ৮০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, চাঞ্চল্যকর তথ্য RPF-এর
Next articleআমফান- ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দ্য বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি