অব্যবস্থার অভিযোগ, বীরভূমে বিক্ষোভ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে বিক্ষোভ অব্যাহত। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের সাঁইথিয়া ও বাতাসপুর। যাত্রীদের অভিযোগ, পানীয় জল থেকে খাবার কোনটাই মিলছে না। সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রেনের মধ্যে রয়েছে নজরদারির অভাব। বিভিন্ন সময়ে স্টেশনে গাড়ি থামলে অথবা চেন টেনে নেমে পালিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। শ্রমিক এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের নিয়ে জেরবার অবস্থা রেল মন্ত্রক থেকে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাতের বরোদা থেকে হাওড়া গামী শ্রমিক ট্রেনের যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। ট্রেনের গার্ডকে ঘিরে সাঁইথিয়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২৮ মে বরদা থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই ট্রেন। ৩০ মে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা বেশি হয়ে গেলেও হাওড়া পৌঁছায়নি ওই ট্রেন। রবিবার বেলা ১০:৩০ টা নাগাদ সাঁইথিয়া পৌঁছায়। অন্যদিকে চেন্নাই থেকে মুর্শিদাবাদগামী আরেকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে প্রায় কুড়ি জন যাত্রী নেমে পড়েন বাতাসপুর রেল স্টেশনে। তাঁরা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার বাসিন্দা। সড়ক পথে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের গাড়িতে করে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে।

সাঁইথিয়া স্টেশনে ট্রেনটি থামতেই কয়েকশো যাত্রী গার্ডকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রেলের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে গার্ড যাত্রীদের জানান বর্ধমান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে ওই ট্রেন। বরোদা থেকে হাওড়া গামী ট্রেনের যাত্রী জিয়াউল শেখ বলেন,” তিন দিনের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তার বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও ট্রেন হাওড়া থেকে অনেক দূরে। কবে কখন আমরা হাওড়া স্টেশনে তার কোনও তথ্য পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাই আমরা। বাংলা সীমান্তে ঢোকার পর আমরা কোনও খাবার পাইনি।

Previous articleআদতে পাকিস্তানে তৈরি ‘মিত্রো অ্যাপ’ ! নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
Next articleআরব সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় , আছড়ে পড়বে ৩ জুন!‌