এই নাকি কেরল শিক্ষিত!!!

🐘

ফরেস্ট অফিসার মোহন যখন সংবাদ মাধ্যমকে তার বিবৃতি দিলেন তখন সেটা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলেন সমস্ত সাংবাদিক।

তিনি বলেছিলেন, ” ডাক্তার যখন হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন তখন তিনি বলেন যে হাতিটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কাঁপা গলায় আরও জানান যে হাতিটির মধ্যে একটা 6th সেন্স কাজ করেছিল। সে জানতো তার মৃত্যু আসন্ন। শুঁড় সহ গোটা শরীর রক্তময়, যন্ত্রণায় জ্বলছিল সারা দেহ। এই অবস্থায় সে তার সন্তানের কথা ভেবে চলে যায় নদীর মাঝে জলের মধ্যে যাতে সেই রক্তাক্ত জায়গায় পোকা-মাকড় না বসে। যতক্ষণ প্রাণ ছিল সে চেষ্টা করেছিল যাতে তার সন্তানের কষ্ট একটু হলেও কম হয়।
আর শেষ অবধি সে ওই মাঝ নদীতেই প্রাণ ত্যাগ করে। ”

কেরলের Silent valley national park এর একটি ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতি Malappuram এর একটি গ্রামের কাছে চলে আসে খাবারের সন্ধানে। সেখানে গ্রামবাসীরা তাকে একটা আনারস খেতে দেয় । অবলা প্রাণীটা সেটি খেয়েও নেয়। আনারসটির ভেতরে ছিল বারুদ ভর্তি। খাওয়া মাত্রই বাজি গুলো তার মুখে ফেটে যায়। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে সারা মুখ।

তবুও নিজের সন্তানের কথা ভেবে সেই রক্তাক্ত শরীর নিয়েই ছুটে বেড়ায় সারা গ্রাম একটু খাবারের খোঁজে। শেষ অবধি সে খাবার পায়নি আঘাত ও করেনি কোনো গ্রামবাসী কে, ভাঙেনি কোনো ঘর। সোজা চলে এসে মাঝ নদীতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। বহু চেষ্টাতেও তাকে সরানো যায়নি সেখান থেকে।
– সৌজন্যে: ফেস বুক।

Previous articleগ্রামের ছেলেরা ফিরছে: স্থানীয়রাই স্কুলকে বানালেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
Next articleশুরু চুঁচুড়া-ধর্মতলা বাস পরিষেবা