Wednesday, December 17, 2025

পদত্যাগকাণ্ড নিয়ে অনির্বাণের হয়ে কলম ধরলেন স্ত্রী মধুমিতা

Date:

Share post:

‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ নিয়ে নানা চাপানউতোর এবং বিতর্ক চলছে বিগত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। অনির্বাণের সহকর্মী স্বাতী ভট্টাচার্য দিন কয়েক আগে কলম ধরেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন অনির্বাণের পদত্যাগ করার বিষয়টি পূর্বনির্ধারিত, ফলে এর সঙ্গে ‘অন্য কিছুর গন্ধ খোঁজা’র চেষ্টা বৃথা। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’ স্বাতীর বক্তব্য হুবহু ছেপেছিল। এবার সেই বিতর্কে ইতি টানতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলম ধরলেন অনির্বাণের স্ত্রী এবং এবিপি গ্রুপের প্রাক্তন কর্মী মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়। একদিকে যেমন তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন এবিপি গ্রুপের বেহিসাবি কর্মী ছাঁটাই অনির্বাণ সমর্থন করেননি, তেমনি এটাও বলেছেন অনির্বাণের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পিছনে কোনও পুলিশি তলব বা ছাঁটাই কারণ হিসাবে বাধা হয়নি। পদত্যাগ ছিল পূর্বনির্ধারিত।

মধুমিতা জানিয়েছেন, হ্যাঁ, অনির্বাণ ছাঁটাইয়ের বিরোধী ছিলেন। ব্যবসায় লাভ অব্যাহত রাখতে সংস্থার ছাঁটাই প্রক্রিয়া মোটেই নীতিগতভাবে সমর্থন করেননি। তাঁর নীতি ছিল, খরচ কমাও। ন্যূনতম বেতন যাতে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করো। প্রয়োজনে যারা উচ্চহারে বেতন পায়, তাদের বেতন বেশি করে কাটো। কিন্তু অন্য কোনও উপার্জনের জায়গা তৈরি না করে চাকরি থেকে হঠাৎ ছাঁটাই করা যথার্থ নয়। এই পরিস্থিতিতে তো নয়ই। এরপরই মধুমিতার মন্তব্য, কিন্তু ব্যক্তিগত নীতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার নীতি মেলে না। কর্মক্ষেত্রে অবশ্য এই ধরণের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। অনির্বাণের অবসর নেওয়ার দিন সাতেক আগে বিষয়টি আবার সামনে আশায় অনেকেই এটা দুয়ে দুয়ে চার করেছেন। আমি বলতে চাই এটা ঠিক নয় অনির্বাণের পদত্যাগ ছিল পূর্বনির্ধারিত। তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষজন অনেক আগে থেকেই জানতেন। আর আনন্দবাজারের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশের সমন সংক্রান্ত বিষয়ে মধুমিতা জানিয়েছেন, অনির্বাণকে একবারের জন্য থানায় যেতে হয়নি, জেরা করা হয়নি কিংবা অন্য কোথাও থেকে চাপও দেওয়া হয়নি।

আসলে অনির্বাণের পদত্যাগকে সামনে রেখে নানা জল্পনা বিভিন্ন মহল পল্লবিত হয়েছে। তাতে জল ঢালতে কখনও সহকর্মী স্বাতী, আবার কখনও স্ত্রী মধুমিতা কলম ধরছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনির্বাণ নিজে লেখক এবং যুক্তিবাদী। পদত্যাগ নিয়ে যখন নানা জল্পনা চলছে, তখন জল্পনায় জল ঢালতে নিজে কেন কলম ধরছেন না! সত্য কিনা জানা নেই, অনির্বাণেরই এক সহকর্মী বললেন, আসলে অবসরের পর তাঁর পুরনো কাগজ, ম্যাগাজিনে লেখার দরজা খুলে রাখতেই সামনে এসে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার রাস্তায় যাচ্ছেন না। এটাকে বলে সিট্যুয়েশনাল অ্যাডজাস্টমেন্ট!

spot_img

Related articles

ব্যবসায়ী সম্মেলন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে,...

অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি উৎসবে হামলা চালানো ‘বাবা’ ভারতীয়! জানালো তেলেঙ্গানা পুলিশ

সিডনির বন্ডি বিচে (Bondi Beach) ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে এলোপাথাড়ি গুলিতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু। এরপরেই শুরু হয় বন্দুকবাজদের...

যুবভারতীর ঘটনার জন্য দায়ী মেসি! বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক গাভাসকর

গত শনিবার যুবভারতীতে মেসি ইভেন্টে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে নানা মুণির নানা মত। এবার বিষয়টি...

সেলিম হলেন ব্রাহ্মণ! ভোটার তালিকায় CPIM সম্পাদকের পরিচয়ে ভুল, কটাক্ষ তৃণমূলের

নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় হাজারো ভুল। সঠিক তালিকা প্রকাশের তাড়াহুড়োয় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়েই খালাস...