বিজেপিতে কারা বাদ, সামনে এঁরা কারা? সঞ্জয় সোমের কলম

সঞ্জয় সোম

সারা দেশে ২০১৩-১৪য় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে আজ ঠিক সেই একইরকমের আবহ তৈরি হয়েছে। মানুষ দুর্নীতি আর গাজোয়ারি সহ্য করতে করতে অবশেষে চরম বীতশ্রদ্ধ, তাঁরা পরিত্রাণ চাইছেন। রাজ্যে রোজগার নেই, ভিনরাজ্যে সন্মান নেই। মানুষ গত পঞ্চাশ বছর ধরে চলে আসা লাগাতার অবক্ষয়ের কালচক্র থেকে মুক্ত হতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কিছু ভদ্র সভ্য সৎ শিক্ষিত মুখ চাইছেন, যাঁরা এই গড্ডালিকাপ্রবাহের অঙ্গ নন, যাঁদের ওপর ভরসা করা যায়। সেরকম কয়েকজন আমাদের চোখের সামনেই ঘুরছেন অথচ তাঁদের সামনে না এনে সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড় হয়েই চলেছে। রন্তিদেব সেনগুপ্ত, দেবতনু ভট্টাচার্য, ডঃ আশীষ সরকার, ডঃ স্বপন দাশগুপ্ত, অধ্যাপক বিমল শংকর নন্দ, ডঃ মোহিত রায়, ডঃ স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ, সোমব্রত মন্ডল, তুষার চট্টোপাধ্যায়, সৈকত বসু প্রমুখ আরো অনেক এমন মুখ আছেন, যাঁরা সামনে থাকলে মানুষ ভরসা পাবেন। তার জায়গায় কাদের সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে? থাক, এঁদের বেশিরভাগের বিষয়েই বিশদে আর নাই বা কিছু বললাম। গত লোকসভায় প্রত্যেকটি আসনে একজন প্রার্থীই জিতেছেন, তিনি শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। এতে ওনার নিজের এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সক্রিয়তা ছাড়া আর কারো কোনো কৃতিত্ব নেই, একদম কানাকড়িও না। এবারের পরিত্রানের লড়াই বস্তুত সৎ এবং অসৎ-এর লড়াই, দুর্নীতি এবং স্বচ্ছতার লড়াই, গুন্ডামি এবং ভদ্রতার লড়াই। এই লড়াইয়ে সেনাপতি থেকে নিয়ে আমসৈনিক পর্য্যন্ত, সবাইকে নীতিনিষ্ট হতে হবে। একটা স্তরে রাজনীতির বাস্তব বড়ই নোংরা, অসভ্য, জঘন্য, অস্বীকার করার উপায় নেই। তাকে মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত কাঁটাও প্রয়োজন। কিন্তু কাঁটা যেন তার নিজের জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, মাথার মুকুট না হয়ে ওঠে, সেটা একমাত্র সত্যিকারের ভদ্রলোক নেতৃত্বই নিশ্চিত করতে পারবেন।

Previous articleকরোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় প্রথম পুলিশকর্মীর মৃত্যু
Next articleট্রাম্পের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ মার্কিনীদের, প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা এক বছরে সর্বনিম্ন