সামাজিক বিধি মানাতে তৈরি ‘প্রকাণ্ড জুতো’, ‘জায়ান্ট হ্যাট’

নভেল করোনাভাইরাসের জেরে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ক্রমশ বেড়েই চলেছে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। কতইনা বিধি নিষেধ। রয়েছে সামাজিক দূরত্ববিধি, মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটেশন। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি করোনার প্রতিষেধকের। এই দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে এক এক দেশের মানুষ এক এক রকমের কৌশল আবিষ্কার করছে।

রোমানিয়ার এক জুতোর কারিগর নাম গ্রিগোর লুপ। তিনি বানিয়েছেন বিরাট এক জুতো। এই জুতোর সাইজ ইওরোপিয়ান হিসেবে ৭৫ নম্বর। এমন জুতো আবিষ্কার করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রীতিমতো। কেউ কেউ আবার আবিষ্কার করছেন ‘জায়ান্ট হ্যাট’।

করোনার কোপ পড়েছে রোমানিয়াতেও। সেখানেও চলছে লকডাউন। এই সময় একদিন বাজারে গিয়েছিলেন লুপ। সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ ছিল। তিনি বলেছেন, ‘ লকডাউনের মধ্যে আমার বাগানে কিছু চারা গাছ লাগানোর জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সামাজিক বিধি মানছেন না কেউই। গাদাগাদি ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সবাই। বাড়ি ফিরে ঠিক করলাম এমন জুতো বানাবো যা পড়লে হাসিমুখে সবাই সরে দাঁড়াবে।’

১৬ বছর বয়স থেকে জুতো তৈরি করছেন লুপ। ট্রানসেলভেনিয়ায় একটি জুতার দোকানও রয়েছে তাঁর। তার ৩৯ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ‘বিরাট বড়’ জুতো আবিষ্কার করে ফেললেন। লুপ জানাচ্ছেন, ‘দুজন মানুষ আমার তৈরি এই জুতো পরে মুখোমুখি দাঁড়ালে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে।’

ইউরোপের পথে দেখা যাচ্ছে ‘জায়ান্ট হ্যাট’। প্রকাণ্ড টুপি মাথায় দিলে অন্তত দুই মিটারের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত। দেখা গিয়েছে, জার্মানের একটি কাফেতে এইরকম টুপি পরে দূরত্ব বিধি মেনে চলছেন ক্রেতারা। চিনের স্কুলেও খুদে পড়ুয়াদের দূরত্ববিধি মানাতে অতিকায় টুপির ব্যবহার শুরু হয়েছে।

Previous articleযুক্তরাষ্ট্র ওপেনের স্বাস্থ্যবিধিকে ‘চরম’- ‘অবাস্তব’ বলে কটাক্ষ জোকোভিচের
Next articleস্পষ্টই হয়নি কেন সেদিন বিজেপিতে গিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থ