প্রায় তিন মাস দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে সূর্যের আলো দেখেছে ৩৭ টি প্রাণ। তাও আবার চলন্ত ট্রেনে। লকডাউন এবং করোনাভাইরাসের নাম মিলিয়ে শিশুদের নাম রেখেছে বাবা-মায়েরা। করোনার সঙ্গে মিলিয়ে কারোর নাম করুণা। কারোর নাম আবার লকডাউন যাদব।

এরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তান। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ভিন রাজ্য থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ভোপালে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ঈশ্বরী ও রাজেন্দ্র। মাসখানেক অপেক্ষা করার পর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের টিকিট মেলে। ট্রেনে ওঠার পরই শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। আদতে ধরমপুরা গ্রামের রাজেন্দ্র যাদবের সন্তানের জন্ম হয় ওই ট্রেনের কামরাতে। সন্তানের নাম রেখেছেন করুণা। রাজেন্দ্র বলেন, “এই করোনার মধ্যে আমার মেয়ে ঈশ্বরের করুণা পেল। তাই এই নামকরণ।”

অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিক রিনা মুম্বই থেকে ফিরছিলেন উত্তরপ্রদেশ। লকডাউনের মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরছিলেন তিনি।
ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় জন্ম নেওয়া সন্তানের নামই হয়ে যায় লকডাউন। এছাড়াও বিহারের মমতা যাদব, ওড়িশার শ্রমিক তরুণী মিনা কুম্ভরের সন্তানের জন্ম হয়েছে চলন্ত ট্রেনে।
ভারতীয় রেলের এক মুখপাত্র আর ডি বাজপেয়ীর জানান, “ ভারতীয় রেলওয়ে এই ধরনের পরিষেবা সব সময় ছিল। ট্রেনে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তবে এবারের ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। এতজন শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পেরেছি আমরা। মা এবং শিশুরা ভালো রয়েছে। এর থেকে বেশি আনন্দের কিছু হতে পারেনা।” রেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রত্যেক শিশুকে উপহার স্বরূপ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
