জট খুলতে নামতে হবে সেই নবান্নের চোদ্দোতলাকেই

আকাশনীল গুপ্ত

মঙ্গলবার সকাল থেকেই টালিগঞ্জের উপর নজর রাখছিলাম। নজর রাখছিলাম আর বুঝছিলাম টলিপাড়ার কাজ শুরু করা গেল না। কত লোকের ভাত-রুটি জড়িয়ে রয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিকে কেন্দ্র করে। অথচ কী বেহিসেবি আচরণ!

দুপুর বেলা। কেয়ারটেকার সংস্থাকে নিয়ে সমস্যা শুরু। বিষয়টা মিটে যায় সাত মিনিটের আলোচনায়, কিন্তু মিটল না। প্রযোজক সংস্থার এক হোমরাচোমরা ব্যক্তি দুম করে মাঝখান থেকে বলে বসলেন, ১৫ তারিখ থেকে সিরিয়ালের টেলিকাস্ট শুরু করব বলে আমরা কথা দিয়েছি। যদি তা না পারি তাহলে আগামী ৬ মাস কাজে হবে না। আর এই কথাটাই আঁতে গিয়ে লাগলো শিল্পীদের। কেউ কেউ বললেন এ আবার কী কথা! কিন্তু সেই প্রযোজক রিপিট করলেন কথা, এবার অন্য কোথাও। যে আর্টিস্ট ফোরামের শিল্পীরা নমনীয় ভঙ্গিতে সকলে একসঙ্গে কাজ শুরু করতে চাইছিলেন, তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, কী মনে করছে ওরা? আমাদেরকে গর্তে ফেলতে চাইছে? একে অন্যের পরিপূরক যখন, তখন শিল্পীদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে কোন কাণ্ডজ্ঞানে? শিল্পীদের ছাড়া চলবে তো ইন্ডাস্ট্রি? জট খোলার ইচ্ছাটাই চলে গেল সিনিয়র শিল্পীদের। যার নিট রেজাল্ট শুটিং শুরু হলো না ১০ জুন।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকার অভিজ্ঞতা আমার মধ্যে ‘পালস’ বোঝার ক্ষমতা তৈরি করেছে। আর সেই সূত্রেই আমি নিশ্চিত সমস্যা এখন যে জটিল আবর্তে এসে পড়েছে তাতে সমাধান সূত্র বের করতে নবান্নর ১৪ তলার উপরেই ভরসা করতে হবে। আর শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র বের করতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বর্ষীয়ান শিল্পীদেরও মাঠে নামতে হতে পারে৷

ভাবতেও অবাক লাগছে!

Previous articleলকডাউনে সেরা বিক্রি: নামি ব্র্যান্ডের দামি বিস্কুটকে পিছনে ফেলল ‘পার্লে জি’
Next articleদিল্লি হিংসার চার্জশিটে বিজেপির একাধিক নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্য বেমালুম বাদ !