Monday, November 10, 2025

অতীতে দক্ষিণ কলকাতার একটি নামি স্কুল ছিল বাঙালি সফল মালিকানার প্রতীক।

কবেই সেই ঐতিহ্যের রং বদলে তা এখন অবাঙালি লাগামে।

এখন এই চলতি করোনাআবহে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত বাঙালি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বদনাম করার খেলা শুরু হয়েছে। এবং পিছনে মূলত প্ররোচনা একটি অবাঙালি শিবিরের।

লকডাউনে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে জটিলতা দেখা দিয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বন্ধ। তাহলে বেতন দেব কেন? অন্যদিকে স্কুলের সমস্যা হল পড়ুয়াদের বেতন না নিলে তারা শিক্ষকশিক্ষিকা, কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য বাধ্যতামূলক খরচ চালাবে কী করে? তা সত্ত্বেও স্কুলগুলির প্রায় সবকটিই সরকারের গাইডলাইন মানছে। অভিভাবকদের উপর থেকে চাপ কমাচ্ছে।

কিন্তু তার পরেও কয়েকটি স্কুলে অশান্তির খবর আসছে। কিছু অভিভাবককে প্ররোচনা দেওয়াও হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আয় কমেছে, সেটা ঠিক। কিন্তু তার জেরে শেষে স্কুল যদি শিক্ষকদের বেতন না দিতে পারে, সেটাও সমস্যা।

অভিযোগ, এর মধ্যে এক বাণিজ্যিক লড়াইয়ের গোপন খেলার ইঙ্গিত মিলছে। চালু ও জনপ্রিয় বাঙালি স্কুলের ভিত নড়ানোর চক্রান্ত মাথা তুলছে।

এর সর্বশেষ উদাহরণ উত্তর কলকাতার একটি জনপ্রিয় স্কুল। সব দিক থেকে আধুনিক ও উন্নতমানের এই স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া পরিবারগুলির স্বার্থে এবং সরকারি গাইডলাইন মেনে সব ব্যবস্থা নিয়েছেন।
যেমন বর্ধিত ফি নিচ্ছেন না। টিফিন ও পরিবহনের খরচ ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

অথচ তার পরেও একাংশের অভিভাবক বিক্ষোভ করছেন। অপপ্রচার করছেন।
সূত্রের খবর, প্ররোচনা ছড়ানো হচ্ছে পরিবহনের গোটা টাকা ফেরত দিতে হবে। এদিকে বাস্তব হল, তেলের টাকা ফেরত দিলেও স্কুলকে তো বাসচালক ও কর্মীদের বেতনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই কর্মীদের ছাঁটাই করাও সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও যতটা সম্ভব টাকা ফেরত হচ্ছে।

তার পরেও অপপ্রচার অব্যাহত।
সূত্রের খবর, একাংশের অভিভাবক একটি গ্রুপ তৈরি করে জটিলতা বাড়াচ্ছেন। বাকিদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে যেতে বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের হেল্পলাইনে ফোন করে নালিশ করতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে কুৎসার চেষ্টা চলছে। আর এই প্ররোচনার নিয়ন্ত্রণ মূলত অবাঙালি অভিভাবকদের একাংশের হাতে। টেলিগ্রাম গ্রুপে এই নিয়ন্ত্রকদের কার্যত সকলেই; পাঁচজনের মধ্যে চারজন- অবাঙালি হওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট।

এটি বিরাট জনপ্রিয় স্কুল। তার জন্য অন্য একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও লবির সমস্যা হয়। আশঙ্কা, এখন এই জটিলতার সুযোগে স্কুলটিকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। বিশ্বমানের এই স্কুল চলে বাঙালি মালিকানায়; তাই অবাঙালিদের একটি অংশ কারুর দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানে স্কুলটি সবদিক থেকে সেরা এবং কর্তৃপক্ষ সবসময় যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় প্রস্তুত; সেখানে কিছু অভিভাবক যা করছেন, তা স্কুল সংস্কৃতির বাইরে। ফলে এর পিছনে অন্য ছায়া ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে।

Related articles

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, বন্যা–ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার প্রশাসনের...

রাজ্যের গ্রামে পৌঁছচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে চালু ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট

রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণ...

সব মামলায় জামিন, সাড়ে তিনবছর পরে জেলমুক্তি ঘটতে চলছে পার্থর

অবশেষে সব মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার বিকেলে বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁর...

জাতীয় দলে শামির পক্ষেই সওয়াল সৌরভের, ইডেনে পিচ পরিদর্শন গম্ভীরের

কয়েকদিন পরই  ইডেনে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট(IND vs SA Test)। ইতিমধ্যেই দুই দল কলকাতায় চলে এসেছে। সোমবার...
Exit mobile version