“হেরে যেও না”- বলিউডের উদীয়মানদের পরামর্শ অনুপমের

৩৯ বছর আগে তিনি এসেছিলেন বহিরাগত হিসেবে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। কারণ, তার দাদু শিখিয়েছিলেন, “বেটা হার না মান না”। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলিউডের নতুন প্রজন্মকে এই বার্তা দিলেন অভিনেতা অনুপম খের। যেখানে শুধু মুম্বই নয়, দেশজুড়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে বলিউডের বিরুদ্ধে, ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী করা হচ্ছে নামজাদা প্রযোজক এবং পরিচালক গোষ্ঠীকে, সেখানে দাঁড়িয়ে অনুপম খেরের দাবি মুম্বই খুবই দয়ালু শহর। শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি মানুষকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে এই শহর।

যাঁরা মুম্বইয়ের বাইরে থেকে সেখানে কাজ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে অনুপমের বার্তা- “হেরে যেও না, লড়াই করো। একাই লড়াই করো। যখন মন খারাপ হবে বন্ধুদের সঙ্গে কথা শেয়ার কর। বাবা-মাকে ফোন কর। তাঁদের জানাও তোমার মন খারাপ। বাবা-মায়ের আশীর্বাদ পেলে সব কাজ সহজ হয়ে যায়”।
অনুপম খের জানান, তিনি যখন প্রথম বলিউডে আসেন তখন একজন টাক মাথা ছেলেকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। কারণ ইন্ডাস্ট্রির মত ছিল, মাথায় চুল না থাকলে অভিনেতা হওয়া যায় না; প্রতিভা তো অনেকের কাছেই আছে। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি, হেরে যাননি। তাঁর মতে সুশান্তর ঘটনা সেইসব বাবা-মায়েদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে যাঁদের ছেলেরা ছোট শহর থেকে মুম্বই ভাগ্য অন্বেষণে গিয়ছেন। তাঁরা ভাবছেন দরকার নেই লড়াই করে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক; সাধারণ জীবন যাপন করুক”। কিন্তু প্রবীণ এই অভিনেতার মতে, “লড়াইটা চালিয়ে যাও”।
সুশান্তের মৃত্যুর জন্য যাঁরা বলিউডে স্বজনপোষণকে দায়ী করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন এই অভিনেতা। তাঁর মতে, প্রতিভা থাকলে তা কখনও চেপে রাখা যাবে না। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যে সুশান্তের মৃত্যুর পরে এত কথা বলছেন অনুপম, সেই উদীয়মান অভিনেতা বেঁচে থাকার সময় কি তিনি সাহায্য করেছিলেন তাঁর অবসাদ কাটাতে? তাঁকে ফিল্মি দুনিয়ার আলোরবৃত্তে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন? হাজারো সুশান্ত দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় শহর থেকে রোজ মায়ানগরীতে পৌঁছন। তারমধ্যে কোটিতে গুটি সাফল্য পান। বাকিরা হারিয়ে যান অচেনার অতলে। কেউ কেউ হয়ত সুশান্ত সিং রাজপুত হন।

Previous articleপ্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? লাদাখে কী হচ্ছে জানান, তোপ রাহুলের
Next articleবেসরকারি স্কুলগুলিকে অতিরিক্ত ফি না নেওয়ার আবেদন শিক্ষামন্ত্রীর