চিনের লক্ষ্য নেপাল, অরুণাচল, ভূটান, সিকিম, বললেন সেন্ট্রাল তিব্বতের প্রেসিডেন্ট

সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাংগে

চিনের আগ্রাসন দেখে ভারতকে সতর্ক করলেন সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাংগে৷

এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে সাংগে বলেছেন, “পূর্ব লাদাখের গোটা গালওয়ান ভ্যালি-কেই নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে চিন৷ গত কয়েক দশকে চিন এই দাবি করেনি, হঠাৎ এখন উঠে পড়ে লেগেছে চিন৷ ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে৷”

চিনাদের কৌশল ব্যাখ্যা করে সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাংগে বলেছেন, “১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে এই প্রথম গোটা গালওয়ান ভ্যালির উপরে প্রথম নিজেদের আধিপত্য দাবি করল চিন৷ শান্তিপূর্ণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে রক্তাক্ত করে দিল৷
তিনি বলেছেন, “লাদাখ সীমান্তে চিনের কার্যকলাপ আসলে চিনের ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি’-র অংশ৷ এই স্ট্র্যাটেজি’র জনক পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং৷” সাংগের কথায়, “যখন চিন তিব্বত দখল করলো, তখন মাও সে তুং-সহ অন্যান্য চিনা নেতারা বলেছিলেন, তিব্বত আমাদের হাতের তালু, যা আমাদের দখল করতেই হত৷ এরপর আমরা বাকি পাঁচ আঙুলের দিকে হাত বাড়াবো৷ প্রথম আঙুলটি হল লাদাখ৷ বাকি ৪টি আঙুল হল নেপাল, ভূটান, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ৷”

লবসাং সাংগে ২০১৭ সালের ডোকলাম ‘স্ট্যান্ড-অফ’ প্রসঙ্গও তুলে বলেন, “লাদাখের এই আগ্রাসন সেই ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজির-ই অংশ৷ তিব্বতের নেতারা ভারতকে গত ৬০ বছর ধরেই এটাই সতর্ক করে আসছেন৷ নেপাল, ভূটান ও অরুণাচলের উপরেও চাপ রয়েছে৷

Previous articleচাইনিজ খাবার, রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর!
Next articleএকনজরে বাংলার করোনা আপডেট