বিতর্কের মধ্যেই পূর্ব-লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবারও সক্রিয় নয়াদিল্লি ও বেজিং। আজ সকাল থেকে চলছে কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা। পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতায় আসার জন্য দুই দেশই তৎপর।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে আলোচনা শুরু হলেও গলওয়ানে চিনা হামলার অভিযোগ নিয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথাতেও সেই বার্তাই দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াংকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন , ‘‘সোমবার রাতে গলওয়ানে পরিকল্পনা মাফিক, ছক কষে হামলা চালিয়েছে চিনের সেনা। তার ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।’’ অবশ্য চিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ দিনও গলওয়ানে সংঘর্ষের জন্য ভারতীয় সেনাকেই দোষারোপ করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, নিরপেক্ষ ভাবেই দুই বিদেশমন্ত্রী পূর্ব-লাদাখের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। আলোচনা এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর বিষয়ে তাঁরা সম্মত হয়েছেন।
এলএসি’তে কোনও প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ না-করার বিষয়েও দুই বিদেশমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সোমবার রাতের ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে সংঘর্ষে প্ররোচনা দেওয়া সেনাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য জয়শঙ্করকে প্রস্তাব দিয়েছেন ওয়াং।
