সর্বদল বৈঠকে লাদাখ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কার্যত একঘরে কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন বাকি বিরোধীদের

চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে তীব্র উত্তেজনার আবহেও কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক বিরোধিতা ছাড়তে পারল না কংগ্রেস! দলের সাংসদ রাহুল গান্ধী একবারও চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা না করে উল্টে ভারতীয় সেনার পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুক্রবার লাদাখ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করার সু্যোগ হাতছাড়া করেননি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শত্রু দেশের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অারও অনেক অাগে অালোচনা করার দরকার ছিল বলে মত তাঁর। লাদাখের সংঘর্ষ নিয়ে সবাই অন্ধকারে আছেন বলে মনে করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। যদিও কংগ্রেসের সুরে সুর মেলাতে দেখা যায়নি বাকি বিরোধীদের। মোদি সরকারের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি স্পষ্টই বলেন, বিদেশনীতির বিষয়ে তাঁরা পুরোপুরি কেন্দ্রের পাশে থাকবেন। তাঁর মতে, এটা রাজনীতি করার বিষয় নয়। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করে চিন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে, শারদ পাওয়ার, মায়াবতী, কে চন্দ্রশেখর রাও, স্ট্যালিন সহ বিরোধী নেতারা। গালওয়ানে সংঘর্ষের সময় সেনার হাতে অস্ত্র ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনা করেন নবীন পট্টনায়েক, জগনমোহন রেড্ডি, শারদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের শরিক নেতা পাওয়ার বলেন, এভাবে সেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাওয়ারের খোঁচা, হাতে অস্ত্র থাকলেই হয় না, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির কথাও মাথায় রাখতে হয়। বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে সেনাবাহিনী যে সিদ্ধান্ত নেয় তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা কাম্য নয়।

Previous articleচার্জশিট দিতে ব্যর্থ দিল্লি পুলিশ, দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত DSP দেবেন্দ্র সিংয়ের জামিন
Next articleমোদির দত্তক নেওয়া গ্রামে মানুষ অভুক্ত’, এই খবর করায় FIR সাংবাদিকের বিরুদ্ধে