আলিপুরের শামুকতলায় ফিরল শহিদ জওয়ান বিপুল রায়ের কফিনবন্দি দেহ। গাড়িতে করে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাসিমারা থেকে বিপুলের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিপুলের ভাই বকুলকে ভুটান থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিপুলের স্ত্রী রূম্পা ও মেয়ে তমন্যাও শুক্রবার প্লেনে মিরাট থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন । তাঁদের উপস্থিতিতে বিপুলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এদিন সারাদিন মুখভার ছিল আকাশেরও। আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে চলছে ভারী বৃষ্টি। যেন বীর শহিদের শেষ যাত্রায় বিন্দিপাড়ার সঙ্গে চোখের জল মিশেছে প্রকৃতিরও। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তৈরি হয়েছে শহিদ মঞ্চ। সেখানেই শায়িত শহিদ জওয়ানের নিথর দেহ । তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপচে পড়েছে গ্রামবাসীদের ভিড়। প্রত্যেকেই একবার শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে চান বীর শহিদকে।
২০০৩ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন বিপুল৷ ভাটিবাড়ি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেই সেনাতে নাম লেখান তিনি৷ অবসর নিয়ে এক বছর পরেই বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল বিপুলের৷ বছরে একবার করে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। তবে লকডাউনের জন্য এ বছর বাড়িতে আসতে পারেননি। তাঁর বৃদ্ধ বাবা নিরেন রায় জানান, ক্ষেত মজুর পরিবার। পরিবারের মেরুদন্ড ছিল বড় ছেলে বিপুল। সেই মেরুদন্ডটাই ভেঙ্গে গেল!
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।