Wednesday, November 12, 2025

মানচিত্র-বিতর্কের পর নেপাল এবার বিতর্কিত আইন আনছে, সম্পর্ক অবনতির আশঙ্কা

Date:

মানচিত্র বিতর্ক এখনও জ্বলন্ত৷

তার মাঝেই নেপালের সংসদে পাশ হয়ে গেলো
বিতর্কিত ওই মানচিত্রকেই স্বীকৃতি দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও৷ পাশাপাশি নেপালের কমিউনিস্ট সরকার এমন এক আইন আনছে যাতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷

ভারতের উত্তরাখণ্ডের তিনটি এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বলে দাবি করেছে নেপাল সরকার৷ এ ব্যাপারে ভারতের প্রতিবাদ আমল না দিয়ে নেপাল সরকার
ওই মানচিত্রকেই স্বীকৃতি দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছে৷ পাশাপাশি এক আইন আনছে যাতে বলা হচ্ছে, নেপালের কোনও নাগরিককে বিয়ে করে কোনও বিদেশি মহিলা নেপালে এসে বসবাস করলে সেদেশের নাগরিকত্ব পেতে ৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে৷ এই ৭ বছরে তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না৷ সামাজিক স্বীকৃতির জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলাকে নেপাল সরকার শুধু ‘বিবাহিত’ হিসেবে একটি সরকারি পরিচয়পত্র দেবে৷

এই আইন সাদামাটা মনে হলেও, আইন আনার পিছনে অন্য কারন আছে৷
নেপাল ভারতের ৩টি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে যে মানচিত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাঁর কড়া বিরোধিতা করেন নেপালের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ সরিতা গিরি৷ এই সাংসদ বিরোধিতার পরই নেপাল সরকার এই আইন লাগু করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

উত্তরাখণ্ডের তিনটি এলাকা, লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরা-কে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল৷ এরই বিরোধিতা করেন সাংসদ সরিতা গিরি৷ নেপালের এই সাংসদ আদতে ভারতেরই বাসিন্দা ছিলেন৷ তিনি সংসদে বলেছিলেন, কালাপানি ভারতেরই অংশ৷ সরিতা গিরির এই বক্তব্য ঘিরে নেপালে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ সরিতা গিরি এই দাবি করার পরই বিরোধীরা তাঁর বাড়িতে কালো পতাকা লাগিয়ে দেয়৷ এমন কি, তাঁকে দেশছাড়া করার দাবি ওঠে৷ আর এর পরই এই নতুন আইন আনার উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল সরকার৷ বিশেষজ্ঞদের ধারনা, যদি সত্যিই এই আইন নেপাল সরকার পাশ করায়, তা হলে ভারত- নেপাল সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে৷ ১৯৫০ সালে ভারত- নেপালের মধ্যে হওয়া মৈত্রী চুক্তির পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে৷ এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত এবং নেপালের নাগরিকরা দু’ দেশেই জমি- বাড়ি কিনে বসবাস করতে পারেন৷ নেপালে বিবাহিত ভারতীয় মহিলারা সঙ্গে সঙ্গে সেদেশের নাগরিকত্ব পান৷ দু’ দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন হয় না৷ এমন কি, দুই দেশের মানুষ কোনও আইনি জটিলতা ছাড়াই বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন৷ ভারতের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম৷ কিন্তু সেই সুবিধায় ইতি টানতে চলেছে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার৷ নেপালের এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও বিদেশি শক্তির হাত আছে কি’না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

Related articles

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...
Exit mobile version