Sunday, November 16, 2025

*ভারতীয় সেনাদের হত্যা করতেই গালওয়ানে আসে লাল ফৌজ, চাঞ্চল্যকর তথ্য*

Date:

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মর্মান্তিকও৷

“গত ১৫ জুনের গালওয়ান-সংঘর্ষে নিহত ২০ জন জওয়ানের মধ্যে ১৫ জনের মাথায় ভোঁতা অস্ত্রের প্রাণঘাতী আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এর অর্থ, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করলেও চিনা সেনারা খুন করতেই সেদিন হামলা চালিয়েছিলো। ভারতীয় সেনাদের হত্যা করার লক্ষ্যে এই হামলা, কিছুতেই পরিকল্পনা ছাড়া হতে পারে না৷ চিনের এই মানসিকতা সীমান্তে শান্তি ফেরানোর পরিপন্থী৷”
দীর্ঘ আলোচনার পর এমনই মতপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের CSG বা ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷

চিনের বিষয়ে ভারতের নীতি ও কৌশলগত অবস্থান স্থির করতে এই CSG-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অজিত ডোভালের নেতৃত্বে গঠিত এই হাই-পাওয়ার গ্রুপে রয়েছেন সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ক্যাবিনেট সচিব এবং IB বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। ১৯৯৭ সালে CSG গঠন করা হয়েছিলো৷

সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’ জরুরি বৈঠকে বসে৷ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেশ করা হয় এই বৈঠকে৷ বলা হয়েছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক৷ দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির দক্ষিণে দেপসাং উপত্যকায় LAC পেরিয়ে প্রায় ২ কিমি ঢুকে এসেছে লাল ফৌজ৷ চিনা সেনা ‘ওয়াই-জংশনে’ ঘাঁটি বানিয়েছে৷ উদ্বেগের বিষয় শুধু এই কারনেই ভারতীয় সেনা পেট্রোলিং পয়েণ্ট ১০ এবং ১৩-তে যেতেই পারছে না৷

লাদাখের LAC বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে চিনা ফৌজের তৎপরতা হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম আলোচনায় বসেন অজিত ডোভাল ও অন্যেরা৷ গত ২২ জুন কোর-কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সেনা সংখ্যা কমানো এবং ‘মুখোমুখি’ অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো৷ কিন্তু তা উপেক্ষা করছে লাল ফৌজ। এই পরিস্থিতিতে দেশের এবং সেনাবাহিনীর
কোন পথ নেওয়া উচিত, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বৈঠক করেছে কেন্দ্রের ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’৷

প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ গালওয়ান কাণ্ডের এক নতুন ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘গত ৬ জুন কোর কমান্ডার স্তরের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল দু’পক্ষই LAC বরাবর মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসবে। ছাউনিও সরিয়ে নেবে। কিন্তু কর্নেল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে বিহার রেজিমেন্টের সেনারা ১৫ জুন রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, একাধিক চিনা ছাউনি তখনও PP-১৪ বা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে বহাল তবিয়তে রয়েছে। আছে বেশ কিছু চিনা সেনা। কর্নেল সন্তোষ বাবুর নির্দেশে ভারতীয় জওয়ানেরা ছাউনিগুলি সরানোর চেষ্টা করেন। সে সময় হঠাৎ একটি ছাউনিতে আগুন ধরে যায়। এর পরেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।’’

CSG- বৈঠকে জানানো হয়েছে, ওই সংঘর্ষস্থলের একটু দূরে গালওয়ান নদীর তীরে চিনা ছাউনির সংখ্যা গত এক সপ্তাহে বহুগুণ বেড়েছে৷ এ ব্যাপারে বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্র পেশ করা হয় বৈঠকে৷ গোগরার হট স্প্রিং এলাকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ থেকে ৪ পর্যন্ত নতুন কংক্রিটের বাঙ্কার গড়ে সেখানে ঢুকে বসে আছে চিন সেনা।

Related articles

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে সেনা কার্তুজ উদ্ধার! উৎস নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা 

দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় (Car blast near Red fort) এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। রবিবার...

বিহারে হঠাৎ বাড়ল ৩ লক্ষ ভোটার! কমিশনের তথ্যেই কারচুপি প্রমাণিত

বিহার নির্বাচনে বিজেপির অস্ত্র নির্বাচন কমিশন। বারবার নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি সেই অভিযোগেই সরব ছিল। বিহারে এসআইআর (Bihar...

বাংলাদেশের জেলে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু, পরিকল্পনা করে খুন! অভিযোগ পরিবারের

'ভুলবশত' বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু...

ফের মেট্রো বিভ্রাট, ময়দান থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত আংশিক ব্যাহত পরিষেবা!

রবিবাসরীয় সকালেও মেট্রো ভোগান্তি (Metro Service Interrupted)। সিগন্যালিং রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জেরে এদিন প্রথম মেট্রো থেকেই ব্যাহত হয় পরিষেবা।...
Exit mobile version