করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমার কোন লক্ষণ নেই। বিশ্বজুড়েই তা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সবার প্রশ্ন একটাই-কবে কমবে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ। এ বিষয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস জানান, কোভিড অতিমারি এখনও থামেনি। ভাইরাস নির্মূল হওয়ার আশাও দেখা যাচ্ছে না। অ্যাসিম্টোম্যাটিক মানুষের সংখ্যা অনেক। সুতরাং এখনও ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

তবে টেড্রস আধানমের মতে, করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হলে ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলা করা যাবে। ভ্যাকসিনের তৈরির গবেষণা জোরকদমে চলছে বলে জানান হু প্রধান।
টেড্রস বলেন, ৬ মাস আগে চিনে প্রথম কোভিড ১৯ সংক্রমণের কথা শোনা যায়। এর পরে সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় পর্যায় সংক্রমণে বেজিংয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ‘নো গো জোন’ তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের মতো বিধি চালু হয়েছে সেখানে। সংক্রমণ ঠেকাতে গণ রক্তপরীক্ষা শুরু হয়েছে।
গবেষকরা মনে করছেন, মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক কমে যাবার কারণেই করোনা পরিস্থিতি সংকটময় হয়ে উঠছে। হু প্রধানের মতে, মানুষের শরীরে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্থাৎ শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হলে সংক্রমণের প্রবণতা কমবে।
