অভাবে আত্মঘাতী বাসচালক! প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নাগেরবাজারে

বেতন না হওয়ার কারণে আত্মঘাতী হলেন ২২১ রুটের বাস চালক। বুধবার ভোররাতে দমদম পার্কের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বড়াল আত্মঘাতী হন। বাস মালিক ও কর্মীদের বক্তব্য, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু লকডাউনের ফলে কোনও আয় ছিল না। শেষমেষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার নাগেরবাজারে প্রায় ১৫ টি রুটের বাস চালক এবং কন্ডাক্টররা রাস্তায় বসে থালা বাটি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের বক্তব্য, এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা সংসার চালাতে পারছেন না। ছেলে মেয়েদের বই কিনতে পারছেন না। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ২২১, ২০২, ২১৯, ৩সি/১, রাজচন্দ্রপুর করুণাময়ী, নাগেরবাজার-হাওড়া মিনি বাস চালক সহ বাস মালিক ও অন্যান্য কর্মচারীরা।

প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে রাস্তায় নামেনি বাস। ক্ষতির মুখ দেখেছে বেসরকারি বাস মালিক সহ পরিবহন কর্মীরা। আয় শূন্য বাস মালিকদের। যার ফলে বেতন পাচ্ছিলেন না ড্রাইভার থেকে কন্ডাক্টররা। এরপর রাজ্য সরকার বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি বাস মালিক সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা ধার্য করেছিলেন। কিন্তু বাসমালিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দেননি। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় বাস মালিকরা।

Previous article“আমাকে তৃণমূলের এত কিসের ভয় ?”- হামলার পরে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
Next articleমুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ! বাস নেবেন কী! বাসের চাবিই আমরা দেব না