মোবাইলে টাওয়ার নেই। দীর্ঘদিন ধরে এমনই অবস্থা। অথচ যোগাযোগ রাখার মাধ্যম একমাত্র ফোন। এক্ষেত্রে উপায় একমাত্র নেপালের টাওয়ার । ইন্দো নেপালে সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের ব্যাস উপত্যকা, চুন্ডাস উপত্যকা ও ধরচুলা সাব ডিভিশনে চলছে আজব পদ্ধতি। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে ভারতীয় কোনও মোবাইলের টাওয়ার নেই। সীমান্তের ওপারে রয়েছে নেপালের তৈরি মোবাইলের টাওয়ার। আর সেটি ব্যবহার করেই যোগাযোগ করতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ড সীমান্তে ভারতীয়দের। এক কথায় ভরসা করতে হচ্ছে নেপালের ওপর। যে নেপাল অনৈতিক ভাবে ভারতের অংশ নিজের মানচিত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে, সেই নেপালের মোবাইল টাওয়ারের ভরসাতেই দিন কাটান এই তিন উপত্যকার প্রায় তিন হাজার মানুষ। কেউ আবার নেপালের সিম কার্ড ব্যবহার করে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানে সামান্য কয়েকটি অংশে বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তাও অধিকাংশ সময় তা থাকে না। তাই অনেকেই ভরসা করেন নেপালের সিম কার্ড, নেটওয়ার্ক ও টাওয়ারের ওপর। এখানকার ৪০ হাজার মানুষের কোনও নেটওয়ার্ক পরিষেবা নেই। তিন হাজার মানুষ নেপালের নেটওয়ার্কের ভরসাতেই সংযুক্ত থাকেন।
ধরচুলা সাব ডিভিশনের ম্যাজিস্ট্রেট এ কে শুক্লা জানিয়েছেন, এই মোবাইল নেটওয়ার্কের অসুবিধার কারণে এখানে মনরেগার কাজের টাকা দিতে অসুবিধা হয়, এখন অনলাইন ক্লাস চলছে, তার অসুবিধা হয়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে নেপালের নেটওয়ার্কের ওপর এই সীমান্তের বাসিন্দারা কতটা নির্ভরশীল।
যদিও উচ্চস্তরের প্রশাসন জানিয়েছে, এই এলাকায় চোরাপাচার রুখতেই মোবাইলের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চাপানো রয়েছে।