*কখনই বলিনি পতঞ্জলির ওষুধ করোনা সারাবে: পতঞ্জলির CEO বালকৃষ্ণ*

পুরোপুরি ঘুরে গেলো যোগশিক্ষক রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি৷ রামদেবের সংস্থা যে ওষুধ তৈরি করেছে সেই ওষুধ কোভিড-১৯ সারাতে পারে এমন দাবিই নাকি করেনি পতঞ্জলি৷

নিজেদের আগের দাবি নিজেরাই অস্বীকার করে ওই সংস্থার CEO বালকৃষ্ণ বলেছেন, “আমরা কখনই বলিনি যে আমাদের ওষুধ ‘করোনিল’ করোনাকে নিরাময় করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ পতঞ্জলি কেবল রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল শেয়ার করেছে।”

গত সপ্তাহে রামদেবের এই চাঞ্চল্যকর দাবির জেরেই কেন্দ্র সংস্থাটির ওই পণ্যের বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পতঞ্জলি দাবি করেছিল তাঁদের তৈরি ওষুধ কয়েক দিনের মধ্যে ২৮০ জন রোগীকে সারিয়ে তুলেছে।

সংবাদ সংস্থাকে বালকৃষ্ণ বলেছেন, “আমরা কখনই বলিনি যে আমাদের ওষুধ করোনা নিরাময় করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ আমরা শুধু বলেছিলাম, আমরা একটি ওষুধ তৈরি করেছি এবং তা ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ব্যবহার করে দেখেছি করোনার রোগীদের সারিয়ে তুলেছিল। এতে কোনও বিভ্রান্তি নেই”৷

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক পতঞ্জলিকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই ওষুধের উপাদান, তার গবেষণার ফলাফল, যে হাসপাতালগুলিতে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল, সংস্থার ইন্সটিটিউশনাল এথিক্স কমিটির ছাড়পত্র ছিল কিনা এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন ছিল কিনা সে সম্পর্কিত বিশদ পেশ করতে হবে৷

ওদিকে রামদেব দাবি করেছিলেন, “আমরা কোভিড ওষুধ চালু করছি, করোনিল এবং স্বসারি। আমরা এর দু’টি পরীক্ষা চালিয়েছি৷ প্রথমে ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রিত গবেষণা করেছি, যা দিল্লি, আমেদাবাদ সহ অন্যান্য অনেক শহরেই হয়েছিল। এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিলো ২৮০ জন রোগীর উপর৷ তাদের ১০০ শতাংশই সেরে গিয়েছেন। আমরা এই ওষুধের মাধ্যমে করোনাকে এবং এর জটিলতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর পর সর্বাত্মক ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষাও হয়েছিলো”৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রোগীদের উপর ওষুধের পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন রামদেব।

Previous articleপ্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চা খেতে গিয়ে আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ
Next articleভারতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে চিন, কে কে আছে তালিকায়?