সমালোচকরা আয়নায় নিজেদের মুখ দেখাতে পারবেন তো! অভিজিৎ ঘোষের কলম

অভিজিৎ ঘোষ

মমতাই পারেন।

যাদের কাজ শুধু সমালোচনা করা, তাঁরা পাঁচবার ভাবুন।

যারা ভাবছেন তৈলমর্দন করতে নেমেছি, তাঁরা পড়ুন, বুঝুন বাস্তব অবস্থাটা। তারপর নিজেদের যুক্তি সাজান।

কেন বলছি জানেন? এ ভারতের কোনও রাজ্যে এটা বিরল। এই প্রথম। যদি কারওর কাছে অন্য তথ্য থাকে, তাহলে তা দিয়ে লেখাটিকে পরিমার্জিত করে নেব।টানা এক বছর এই দেশের কোনও একটি রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা এই প্রথম, বেনজির, ব্যতিক্রমী। অন্তত মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচকরা একবার এক মিনিটের জন্য চুপ করুন। অন্তত বলুন, একবার বলুন… হ্যাঁ, এমন সিদ্ধান্ত দেশের আর কোনও রাজ্যে এর আগে হয়নি।

কখন এই সিদ্ধান্ত নিলেন একবার তাকিয়ে দেখুন…

১. করোনার আক্রমণে রাজ্যের পরিস্থিতি শোচনীয়। সবচেয়ে বড় কথা হল করোনা প্রতিরোধে একটি পয়সাও কেন্দ্র থেকে পাননি। অথচ টানা তিন মাস লকডাউনের দরুন রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য।

২. বিধ্বংসী আমফান। ছারখার বাংলার ৬টি জেলা। ক্ষতি এক লক্ষ কোটির উপরে। কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র এক হাজার কোটি। ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় দলের ঘুরে যাওয়ার পরেও পরবর্তী অর্থ কবে দেওয়া হবে তার কোনও উচ্চবাচ্য নেই।

৩. রাজ্যের পাওনা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করছেন, কিন্তু টাকা আসেনি। রাজ্য কি তাহলে চুরি ডাকাতি করবে?

৪. জিএসটি বাবদ রাজ্যের পাওনা কয়েক হাজার কোটি টাকা। সে টাকা আসেনি রাজ্যের ভাঁড়ারে। তাহলে রাজ্যটা চলবে কী করে?

এই অবস্থার মাঝে মুখ্যমন্ত্রী শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাই নয়, রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এই ঘোষণা, এই সদিচ্ছা, এবং মানুষের পাশে থাকার এই প্রেরণাকে একবার অন্তত স্যালুট জানান সমালোচকরা। নইলে আয়নায় মুখ দেখাতে পারবেন তো!!