তামিলনাড়ুতে জেলের ভেতরে বাবা আর ছেলের ওপরে পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় ৪ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত ৪ জনের মধ্যে একজন মূল অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর রঘু গনেশকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করা হয়েছে।
তুতুকডির জেলে পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে তদন্ত চালাচ্ছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সিআইডি। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত রঘুগণেশ এবং বালাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে অন্য একাধিক ধারাতেও মামলা করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন জেলের ভেতরে মর্মান্তিক অত্যাচার চালানো হয় তুতুকোডির সাধারণ এক দোকানদার জয়রাজ আর তাঁর ছেলে বেনিক্সের উপর। লকডাউনে দোকান বন্ধ করার সময় হয়ে গেলেও কেন তাঁরা দোকান খোলা রেখেছেন, সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, হেফাজতে থাকাকালীন নৃশংস শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল বাবা-ছেলের উপরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ২৩ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। গোটা দেশই গর্জে ওঠে। প্রতিবাদীরা জর্জ ফ্লয়েড হত্যার সঙ্গেও তুলনা করতে থাকেন এই ঘটনাকে। গোটা ঘটনায় প্রবল চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় AIADMK সরকার৷ পরে ২ সাব ইনসপেক্টর রাতারাতি গ্রেফতার হন। অন্যদিকে স্থানীয় বিচার বিভাগীয় ম্যা্জিস্ট্রেট রিপোর্টে পুলিশি হেফাজতে অত্যাচারের ঘটনায় তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে তুতুকোডির ডিএসপি সি প্রথপন, অতিরিক্ত ডিএসপি ডি কুমার এবং কন্সটেবল মহারাজনের বিরুদ্ধ। ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।