বিজেপি নেতার নামে সহবাসের অভিযোগ মহিলা কর্মীর, পাল্টা মামলা হবে, জানালেন অভিযুক্ত নেতা

সবে বড় দায়িত্ব নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির পদে এসেছেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ক’দিনের মধ্যেই গুরুতর এক অভিযোগে জড়ালেন তিনি৷

বিজেপি’র শিক্ষক সেলের এক মহিলা কর্মী এই সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে বলেছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ বুধবার হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন নির্যাতিতা। ওই বিবাহিতা যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, প্রতারণা, ভয় দেখানো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে
অভিযুক্ত বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে৷

ওদিকে, সোমনাথবাবু দাবি করেছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ ওই যুবতী এখন আর তাঁদের দলে নেই। অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা৷ সোমনাথবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, “এতদিন পর কেন অভিযোগ করতে এলেন নির্যাতিতা? বিষয়টা সত্যি হলে তো আগেই করা উচিত ছিল। এখন আমার দায়িত্ব বেড়েছে। আমার নেতৃত্বে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে। যা মানতে পারছে না শাসক দল। সে কারণেই পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।”

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত অনেকদিন ধরে একই দলভুক্ত৷ আলাপ সেই সূত্রেই। লিখিত অভিযোগে যুবতী জানিয়েছেন, পার্টি করতে গিয়ে সোমনাথবাবুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে এই নির্যাতিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সোমনাথবাবু। প্রতিশ্রুতি দেন, বিয়ে করবেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারপর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতী জানিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সহবাসও করেছেন নেতা। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার তাঁর থেকে টাকাও নিয়েছেন। যার পরিমাণটা কম নয়!
যুবতী পুলিসকে আরও জানিয়েছেন, তাঁকে দলের বড় পদে বসানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। তিনি যখন বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন, তখনই শুরু হয় ভয় দেখানো। দলে তাঁকে বেকায়দায় ফেলে দেবেন বলে হুমকি দেওয়াও। এরপরই থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে।

Previous articleঅ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর নয়া আশঙ্কা, মিলবে কি চিনা সংস্থার মোবাইল?
Next articleএকুশের লড়াইয়ের সুর বাঁধতে আজ তৃণমূলের মেগা ভার্চুয়াল সভা