রাজনৈতিক সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ কুলতলি, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষকে করন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত কুলতলির মইপীঠ অঞ্চল।

বছরের পর বছর ধরে কুলতলিতে শক্ত ঘাঁটি এসইউসি’র। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, মইপীঠ থানার বৈকণ্ঠপুরে ৪ নং বাজার সংলগ্ন এলাকায় আচমকাই হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একাধিক দোকান ভাঙচুরের করার পাশাপাশি এসইউসি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে সেই সময়ে এলাকাবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্নাকে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল কর্মী ভোলানাথ গিরি। তৃণমূলের দাবি, দলীয় কর্মীকে পিটিয়ে মেরেছে এসইউসি’র কর্মী-সমর্থকরাই।

গতকাল রাতে দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এরপর আজ, শনিবার সকালে এসইউসি’র গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা গীতা জানার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এলাকা থেকে। গীতাদেবীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী সুধাংশু জানাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন সুধাংশু জানা।

ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও সেখানে হাজির হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন দিয়েছিল এসইউসি। তারপর থেকেই এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। যা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

Previous articleলাদাখে শহিদ হওয়া সেনাদের সম্মানে বেনজির সিদ্ধান্ত সরকারের
Next articleদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে কমেছে বেকারত্বের হার: টুইট মুখ্যমন্ত্রীর