উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলরকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেফতার ৪

প্রতীকী ছবি

দু’দিন আগে উত্তর ২৪ পরগণার উত্তর বারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী নির্দল কাউন্সিলর চম্পা দাসকে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। নির্দল কাউন্সিলরের পায়ে গুলি লাগে। তদন্তে নামে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। ব্যক্তিগত শত্রুতা না নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ? এই জল্পনার মাঝেই বড়সড় সাফল্য পেলো পুলিশ। ওই কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম তপন, শুভ, টুবাই ও রকি। জগদ্দল এবং নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতা থেকেই ওই বিদায়ী কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ইছাপুরের মায়াপল্লী অঞ্চলে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর। সেই সময় তিন-চারজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত যথেষ্ট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

জেলা তৃণমূলের দাবি, গত পুরসভা নির্বাচনে উত্তর বারাকপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতার পর চম্পা দাস তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেছিলেন, এই কাউন্সিলর গত কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের সঙ্গে থাকায় তাঁকে দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই দুষ্কৃতী হামলা।

Previous articleকোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে যানজটের সমস্যা অব্যাহত, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
Next articleনন্দীগ্রামে কেন ২৫জনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল?