টাকা দিতে অপারগ রোগীর পরিবার, ট্র্যাকশন খুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন আয়া

রোগীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দাবি মেটেনি। তাই অপারেশনের পর টেনে হিঁচড়ে খুলে দেওয়া হলো রোগীর পায়ের ট্র্যাকশন। তাতে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন রোগী। যদিও কর্ণপাত করেননি অভিযুক্ত আয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই ওই আয়াকে সাসপেন্ড করেছে কর্তৃপক্ষ।

গাছ থেকে পড়ে গিয়ে বাঁ পা ভেঙে গিয়েছিল বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের সিজেপাড়ার বাসিন্দা সেখ আনোয়ারের। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তৎক্ষণাৎ তাঁর অপারেশন করা হয়। এরপর সিবিএস মেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অপারেশন হওয়া পা ট্র‍্যাকশন দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ওই ওয়ার্ডের আয়া মানা মহন্ত তা লাগিয়ে দেন। এই কাজের জন্য রোগী পরিবারের থেকে ২০০ টাকা দাবি করেন তিনি।

তবে হতদরিদ্র ওই পরিবার সেই দাবি মেটাতে পারেনি। শুরু হয় বচসা। শেষমেষ ১০০ টাকা দিতে রাজি হন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাতেও রাজি হননি ওই আয়া। ক্ষোভ উগরে দিতে রোগীর অপারেশন হওয়া পা থেকে টেনে হিঁচড়ে ট্র্যাকশন খুলে দেব তিনি। ঘটনায় রোগীর ভাই শেখ রাজু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, “রোগীর সঙ্গে এই আচরণ সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। আমরা অভিযুক্ত আয়াকে সাসপেন্ড করেছি।’’ এদিকে মঙ্গলবার অভিযুক্ত আয়া মানা সামন্ত হাসপাতালে যান ক্ষমা চাইতে। যদিও কোনও আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।

Previous articleপেট্রোপণ্য-এর আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ ফিরহাদের
Next articleকাঁকুড়গাছি কাণ্ডে এবার উঠে এল রাঁধুনি পর্ব!