ডেউচা-পাচামিতে পুনর্বাসনের পরেই কাজ: মুখ্যসচিব

“সরকার এখানে ব্যবসা করতে আসেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা এখান থেকে ব্যবসায়ীদের মতো সরকার মুনাফা করবে আর তাঁরা বঞ্চিত হবেন এই মানসিকতা যেন স্থানীয় মানুষদের না হয়। 100 শতাংশ পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই কাজটা শুরু হবে।” ভারতের প্রস্তাবিত সবচেয়ে বড় ডেউচা-পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মন্তব্য করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। বৃহস্পতিবার বীরভূমের ডেউচাতে এই বৈঠক হয়। ছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সচিব মনোজ পন্থ, বিদ্যুৎ দফতরের সচিব পি বি সেলিম, স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী, কৃষক এবং গ্রামবাসীরা। কয়েকশো আদিবাসী দাবি-দাওয়া জানানোর জন্য জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের আগে আটকে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেউচা পাচামি কয়লা ব্লকের দায়িত্ব নিয়েছেন একক ভাবে। প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন বছর দুয়েক আগে। ডেউচা গৌরাঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয় রাজ্যের তিন সচিব সেই বৈঠক করেন। অক্টোবর মাস থেকে স্থানীয়ভাবে কাজকর্ম শুরু হয়ে যাবে। মোট সাড়ে তিন হাজার একর জমিতে কয়লা উত্তোলন করা হবে। তিন থেকে চার ধাপে সেই জমি অধিগ্রহণ হবে। প্রথম পর্যায়ে 400 থেকে 500 একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। কাজ শুরু হওয়ার পর বাকি জমি পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণ করা হবে। এদিন সরাসরি সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, উপযুক্ত পুনর্বাসন দেওয়ার পর কাজ শুরু হবে।
ডেউচা, হিংলো, ভারকাটা, সেকেড্ডা ও পুরাতনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটগাছা,চান্দা, বাহাদুরগঞ্জ, সালুকা, মকদুমনগর,কবিলনগর,নিশ্চিন্তপুর,দেওয়ানগঞ্জ,আলিনগর এবং হরিনসিঙ্গা এই মৌজা এলাকার জমিতে এই কয়লা উত্তোলন হবে। উপরের স্তরে কালো পাথর তোলার সঙ্গে সঙ্গে কয়লা উত্তোলন করা হবে। এই প্রকল্পের উৎপাদিত কয়লা মূলত তাপবিদ্যুত প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে। দেশের সর্ববৃহৎ এই কয়লা খনিতে সরাসরি ১ লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে। এছাড়া এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুশের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো জন্য বিভিন্ন ভাবে কয়েক লক্ষ মানুষের পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে জানা গিয়েছে। এর ফলে ওই খনি শিল্প এলাকা তথা জেলার পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে ব্যাপক ভাবে।
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, “পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই জমি অধিগ্রহণ হবে। প্রকল্পের কাজটি ধাপে ধাপে হবে একসাথে হবে না। কোন মানুষের যেন সমস্যা না হয় কোন ক্ষতি না হয় সেটা আমরা দেখব”।
বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সোরেন বলেন, “এলাকার কয়েক’শ আদিবাসী এদিন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বৈঠকস্থল থেকে অনেক আগেই আটকে দিয়েছে”।

Previous articleসিবিএসই- র সিলেবাস নিয়ে সাফাই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর
Next articleBig Breaking: সিবিএসই ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি। প্রত্যাহার করা হলো বিজ্ঞপ্তি ।