অ-রাজনৈতিক তরুণ প্রজন্মকে দলের মূল স্রোতে আনছে আলিমুদ্দিন

সরাসরি রাজনীতি করেন না, তরুণ প্রজন্মের এমন বহু মুখ লাল পতাকার তলায় জড়ো হয়ে মহামারি ও আমফানের ত্রাণ- কাজে যুক্ত হয়েছেন। দলের মূল্যায়ণ, দারুণ কাজ করছেন এরা৷ এবার এই তরুণদেরই সংগঠনের মূল স্রোতে আনতে চলেছে আলিমুদ্দিন৷ এই অ-রাজনৈতিক তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই বাম রাজনীতিতে আগ্রহ আছে, এমন জানার পরেই সিপিএম নেতৃত্ব তাঁদের নিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্ত, জুলাই-আগস্ট জুড়ে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয়, রাজ্য ও জাতীয় ইস্যুতে যৌথ আন্দোলন চলবে। সেই আন্দোলনে সামনের দিকেই থাকবে ঝকঝকে এই তরুণ প্রজন্ম৷

মহামারি আবহের মধ্যেই কী ভাবে এই সব আন্দোলনে ‘অন্য কায়দা’ আনা যায়, সেই রণকৌশল ঠিক করার নির্দেশও দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মহামারি-পর্বে এই প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেন রাজ্য কমিটির সদস্যরা। এতদিন ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা কতটা ত্রাণের কাজ চালিয়েছেন, ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের পাশে কতটা দাঁড়াতে পেরেছেন এবং কংগ্রেসকে নিয়ে যৌথ আন্দোলন কতটা এগিয়েছে, এ সব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। সেই আলোচনার ভিত্তিতে সূর্যকান্তর নির্দেশ, ‘লকডাউনের মধ্যে ও ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণের কাজে প্রচুর নতুন মুখ এসেছে। যাদের অনেকেই দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। দ্রুত এই নবীন প্রজন্মকে সংগঠনে আনতে হবে।’ কলকাতায় ও জেলার সদরে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি শুরু হলেও পঞ্চায়েত ও ব্লক-স্তরে সর্বত্র শুরু হয়নি। এই নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের নির্দেশ, মহামারি পরিস্থিতির জন্য বরাদ্দ ত্রাণ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রিলিফ না পাওয়া, সব বিষয়ে সর্বত্র রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস-সহ সব গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একত্র করে পঞ্চায়েত স্তরে আন্দোলনে নামতে হবে।
এ দিন সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্যদের করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়‌। ৭২ ঘণ্টা পর রিপোর্ট জানা যাবে। পর্যায়ক্রমে জেলাস্তরের নেতা-কর্মীদেরও টেস্ট হবে।

Previous articleশহরের আর কোনও উড়ালপুল দিয়ে যাবে না ট্রাম
Next articleBreaking: ইস্টবেঙ্গলকে মমতার বার্তা, ISL খেলার সম্মতি দিয়ে দিন