মনুয়া কান্ডের ছায়া: স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে দিল স্ত্রী ও তার প্রেমিক!

ফের মনুয়া কান্ডের পুনরাবৃত্তি। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। আর তার জেরেই স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে দিল স্ত্রী ও তার প্রেমিক। শুধু তাই নয়, সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য মেঝে ফের সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পরে অভিযুক্ত।

শনিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ধান্যগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম নুর মহম্মদ(৩৪)। অভিযুক্ত স্ত্রী আসমা বিবি(২৭) এবং তার প্রেমিকের নাম দুলাল আলি।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১৮ বছর নুর মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয় আসমা বিবির। বিয়ের ২ বছর পরই শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা দুলাল আলির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আসমা বিবির। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসাও হয়। এলাকায় সালিশি সভাও বসে।

জানা গিয়েছে, সালিশি সভায় আসমা চূড়ান্ত অপমানিত হয় এবং সেখানে দুলাল হুমকিও দেয় যে, এক মাসের মধ্যে নূরকে মেরে দেওয়ার।
তারপরই গত আট দিন ধরে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নূর মহম্মদের। নন্দকুমার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে নূরের পরিবার। এরপরই আসমা বিবির উপর সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে নন্দকুমার থানার পুলিশ জেরা শুরু করে। পুলিশের দফায় দফায় জেরার মুখে ভেঙে পড়ে আসমা বিবি। অবশেষে স্বীকার করে নেয় যে,প্রেমিকের সহযোগীতায় স্বামীকে খুন করে দেহ লুকিয়ে রেখেছে সে।
এই কথা জানার পরই শুক্রবার গভীর রাতে নন্দকুমার থানার পুলিশ আসমা বিবিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাপের বাড়ি যায়। ফতেপুর গ্রামের বাপের বাড়ির রান্নাঘরে পুঁতে দেওয়া ছিল নূর মহম্মদের দেহ। এদিকে এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই অভিযুক্ত আসমার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহ আসমা বিবির মাকেও আটক করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে চালানো হচ্ছে আসমার প্রেমিকেরও।

Previous articleমহামারি পরিস্থিতিতে পঠন পাঠন নিয়ে ধন্দে পড়ুয়ারা
Next articleএবার করোনা মারতে কামান দাগলো কলকাতা পুরসভা