মহামারি পরিস্থিতিতে পঠন পাঠন নিয়ে ধন্দে পড়ুয়ারা

মহামারির দাপটে জেরবার সারা বিশ্ব। এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। এই অবস্থায় সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। মার্চ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। এরপরই একের পর এক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু এই অবস্থায় কী হবে ভবিষ্যৎ তা নিয়ে শঙ্কায় পড়ুয়ারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষ বা ফাইনাল সেমিস্টার ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিতে হবে। একই সঙ্গে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় সেমিস্টার ও স্নাতক স্তরের ৪ সেমিস্টার বাধ্যতামূলক। আবার রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষ বা ফাইনাল সেমিস্টার ৮০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য জানিয়েছে, দ্বিতীয় সেমিস্টার এবং চতুর্থ সেমিস্টারের পড়ুয়াদের পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করতে হবে। যদিও কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে তা স্পষ্ট করেনি রাজ্য।

যদিও এ বিষয়ে শিক্ষাবিদদের একাংশ বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সরকার বলেন, যে পড়ুয়াদের ইতিমধ্যে কোনও একটি বা একাধিক বিষয়ে অথবা কোনও বিষয়ে একাধিকবার ব্যাক আছে সেক্ষেত্রে কীভাবে তাঁদের মূল্যায়ন হবে তা স্পষ্ট নয়।

ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, মহামারির জেরে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র- রাজ্যের দোলাচলে কী হবে বুঝতে পারছেন না। ইউজিসির নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। এদিকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ঠিক করেছেন রাজ্যের পরামর্শ অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ চূড়ান্ত বর্ষ বা ফাইনাল সেমিস্টার ৮০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টার এবং চতুর্থ সেমিস্টারের পড়ুয়াদের পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করতে চাইছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

Previous articleপুলিশ কোয়াটার থেকে ঝাঁপ কনস্টেবলের!
Next articleমনুয়া কান্ডের ছায়া: স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে দিল স্ত্রী ও তার প্রেমিক!