Wednesday, November 12, 2025

ঠিক এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ৫৬টির বেশি আসন পাবে না। বড়জোর আরও ১৩টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জায়গায় থাকবে।

একাধিক সূত্রে এই রিপোর্ট পেয়ে নড়ে বসেছে বিজেপির দিল্লির নেতৃত্ব। রিপোর্টে কংগ্রেস- বাম জোট প্রায় ৩৫ – ৩৮টি আসনের সম্ভাবনা আছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রায় ১১০টি আসনে বিরোধী ভোট কাটাকাটিতে বড় অঙ্কের ব্যবধানে জিতবে তৃণমূল।

দিল্লির বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা দলীয় সূত্রের পাশাপাশি একাধিক নেটওয়ার্কে খবর নিচ্ছেন। আইবি রিপোর্টও থাকছে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহের খবর অনুযায়ী, বিজেপি বিকল্প সরকার গড়ার ধারেকাছেও নেই।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিজেপির দলের একাংশের পেশ করা পরিসংখ্যানেও এই বিষয়টি এসেছে। এমনকি মুকুল রায়ও দিল্লিকে জানিয়েছেন অবিলম্বে বড়সড় বদল না হলে তৃণমূলকে হারানো এই বিজেপির কম্ম নয়।

দিল্লির খবর, রিপোর্ট অনুযায়ী:
১) লোকসভায় মোদিকেন্দ্রিক হাওয়া ছিল। এবার সেটা প্রযোজ্য নয়।
২) মমতার বিকল্প মুখ বাংলায় এখনও নেই।
৩) লোকসভায় সাফল্যের পর বিজেপির ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ধরে রাখা যায়নি।
৪) বিজেপি সংগঠনে আদি বনাম নব বিবাদ স্পষ্ট। সেই সঙ্গে ব্যক্তিনির্ভর গোষ্ঠী, উপদল, অযোগ্যের লবিবাজি প্রবল বেড়েছে। ফলে সাময়িক প্রচার হলেও তাতে ভোটে লাভ হওয়া কঠিন।
৫) এমনকী নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পরেও নতুন পদাধিকারীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার দক্ষিণ কলকাতার সভাপতির মত একাধিক জায়গায় চিহ্নিত অপদার্থকে এনে দলের সম্ভাবনার জায়গায় জল ঢালা হচ্ছে।
৬) নিজেদের পছন্দের লোককে বসিয়ে বা আরও কিছু কারণে পদ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখাই বহু ক্ষেত্রে লক্ষ্য। ২০২১-এ না জিতলেও কোনো ক্ষতি নেই এদের।

এই ধরণের মারাত্মক সব বক্তব্যসহ রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাতে একাধিক বিষয় রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহ সভাপতি চাড্ডাকে দেখতে বলেছেন। এখানে স্পষ্ট দুটি ভাগ রয়েছে। একদিকে দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালেরা।
অন্যদিকে মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্যদের শিবির।
এর মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ কয়েকজন আছেন, যাঁরা মনে করছেন, বিজেপির সামনে যে সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছে, তা দলীয় কারণেই কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

দিল্লিতে শিবপ্রকাশ চান দিলীপ-সুব্রত জুটির হাতেই ক্ষমতা থাকুক। কৈলাস চান, মুকুল রায়কে সামনে এনে কাজে লাগানো হোক।

কিন্তু এটা ঠিক যে দিল্লি এবার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছে। অমিত শাহ জুলাইয়ের শেষদিকে নাড্ডার সঙ্গে বসে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে বিজেপির দিল্লি দপ্তর সূত্রে খবর। হয় রাজ্য বিজেপিকে কর্মপদ্ধতি বদলাতে বলা হবে। অথবা কমিটিতেই বদল আনা হতে পারে বলে সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে।
তবে অন্য সূত্র বলছে, দিলীপ ঘোষের উপর পূর্ণ আস্থা আছে দিল্লির। একটি অংশ তাতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হবে না।

Related articles

দিল্লি বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন দেহ সনাক্তকরণে ট্যাটু- টি-শার্টে ভরসা!

লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi blast near Red fort) জেরে মৃতদের সনাক্তকরণে বাড়ছে সমস্যা (Deadbody Identification)। দেহ ছিন্নভিন্ন...

দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত বেড়ে ১৫, তদন্তে দশ সদস্যের NIA টিম

লালকেল্লায় কাছে বিস্ফোরণ পরিকল্পনা মাফিক নয় বরং তাড়াহুড়োর জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা, কি খাবার কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উঠে এলো...

তিলোত্তমার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি, বুধেই মরশুমের শীতলতম দিন মহানগরীতে!

বঙ্গবাসীর আশা পূরণ করে স্বমহিমায় ইনিংস শুরু করেছে শীত (Winter)। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই পারদ...

টার্গেট ছিল দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস! দিল্লিকাণ্ডে ধৃতকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য 

দিল্লির লালকেল্লার (Red fort Delhi) সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের (Indian...
Exit mobile version