শিক্ষাক্ষেত্রে কষাঘাত করছেন রাজ্যপাল, ধনকড়কে তোপ পার্থর  

করোনা আবহের মধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের দিন
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা সাজাতে ও তার গতি-প্রকৃতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করার কথা ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। কিন্তু যথারীতি তাঁর ডাকে সাড়া দেননি উপাচার্যরা। যা নিয়ে বেজায় চটেছিলেন রাজ্যপাল। আজ, বৃহস্পতিবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছেন ধনকড়। তিনি অপমানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে রাজ্য সরকার রাজনৈতিক “খাঁচাবন্দি” করেছে বলেও ট্যুইটে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে ধনকড়কে তোপ দাগেন শিক্ষামন্ত্রী
পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, পারলে বাংলার জন্য কিছু করে দেখান, বাংলার হয়ে ছাত্রদের কথা কেন্দ্রকে জানান। বাংলার স্বার্থে কাজ করুন। কেন্দ্রের কাছে বাংলার পাওনা-গণ্ডা নিয়ে দরবার করুন।

এখানেই শেষ নয়। শিক্ষামন্ত্রী সুর চড়িয়ে বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের কথা তিনি নিজেই টুইট করেছিলেন। বৈঠকের বিষয়ে তিনি নিজেই সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। সবকিছুই বৈঠকে তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষা পিছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছিল রাজ্যের তরফে।”

রাজ্যপাল যে অভিযোগ করেছেন তার পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরামর্শই ছাত্রদের সুরক্ষার কথা ভেবেই করা হয়। রাজ্যকে সাহায্য করার উদ্যোগ নিয়ে বাংলার হয়ে ছাত্রদের কথা কেন্দ্রের কাছে জানাতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করছি। রাজ্যের স্বার্থে, ছাত্রদের স্বার্থে কিছু করে দেখান। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আমরা কোনও বিতর্ক চাই না। কিন্তু উনি নিজেই বারবার প্রচারের আলোয় আসার জন্য এসব করে বেড়াচ্ছেন”।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই উপাচার্যদের বৈঠকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই বৈঠকের অনুমোদন দেয়নি। একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, এ রাজ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতকে অবহেলা করা হচ্ছে এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় পড়ুয়াদের যেভাবে শোষণ করা হয় তা নজিরবিহীন।

তারই জবাব দিয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরাসরি শিক্ষাক্ষেত্রে কষাঘাত করছেন রাজ্যপাল। তিনি সংবিধানের রীতি-নীতি মানছেন না। উপাচার্যদের ভয় দেখাচ্ছেন।

Previous articleভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী গোটা বিশ্ব, কবে জানা যাবে সুখবর?  
Next articleথানার সামনেই কান ধরে দাঁড়িয়ে মহিলা পুলিশকর্মী! ভাইরাল ছবি